Cvoice24.com


একজন সফল নারী উদ্যোক্তার গল্প

প্রকাশিত: ০৮:০২, ১১ জুন ২০১৮
একজন সফল নারী উদ্যোক্তার গল্প

ছবি : মিনহাজ ঝন্টু

সাবিনা ইকরাম সিরাজী ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন অনেকদূর এগিয়ে যাবেন, হবেন সফল। এ ভেবেই শুরু করেন পথচলা। কিন্তু না; এ পথচলায় ছিল অনেক চ্যালেঞ্জ। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতেই হন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এক সময় হলেন স্ত্রী, এরপর মা। বাড়ে দায়িত্ব। নিজের মতো করে সাজালেন সংসার।
এখানেই থেমে থাকা যাবে না- এমন ব্রত নিয়েই স্বীয় মেধা, মনন, পরিশ্রম ও একাগ্র প্রচেষ্টায় সংসার সীমানা পার করে এলেন নতুন ভূবনে। হলেন সফল রন্ধনশিল্পী। এ পরিচয়ে দেশের অনেক মানুষের কাছে তিনি পরিচিত। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম ওমেন’স চেম্বার অব কমার্সের প্রাক্তন পরিচালক ছিলেন। বর্তমানে ইনার উইল ক্লাব অব অনন্যার ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাবিনাস কিচেনের পরিচালক, লায়ন্স ক্লাব অব এমিয়েবেল রোজের প্রেসিডেন্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সফল এ নারী উদ্যোক্তা।

সিভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকম : কীভাবে নিজেকে সফল ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হলেন?

সাবিনা ইকরাম সিরাজী ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন অনেকদূর এগিয়ে যাবেন, হবেন সফল। এ ভেবেই শুরু করেন পথচলা। কিন্তু না; এ পথচলায় ছিল অনেক চ্যালেঞ্জ। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতেই হন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এক সময় হলেন স্ত্রী, এরপর মা। বাড়ে দায়িত্ব। নিজের মতো করে সাজালেন সংসার।
এখানেই থেমে থাকা যাবে না- এমন ব্রত নিয়েই স্বীয় মেধা, মনন, পরিশ্রম ও একাগ্র প্রচেষ্টায় সংসার সীমানা পার করে এলেন নতুন ভূবনে। হলেন সফল রন্ধনশিল্পী। এ পরিচয়ে দেশের অনেক মানুষের কাছে তিনি পরিচিত। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম ওমেন’স চেম্বার অব কমার্সের প্রাক্তন পরিচালক ছিলেন। বর্তমানে ইনার উইল ক্লাব অব অনন্যার ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাবিনাস কিচেনের পরিচালক, লায়ন্স ক্লাব অব এমিয়েবেল রোজের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সফল এ নারী উদ্যোক্তা।

সিভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকম : কীভাবে নিজেকে সফল ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হলেন?
সাবিনা ইকরাম সিরাজী : শুরুতেই কোন কিছুর পাবার আকাঙ্খা নিয়ে বা কোন সফলতার কথা ভেবেই রন্ধন শুরু করিনি। প্রথমে শখ এরপর কাজের নেশা এবং পেশাতে পরিণত হই। তবে অবশ্যই একটা স্বপ্ন দেখতে হয় সফল হওয়ার জন্য। ধীরে ধীরে কঠোর পরিশ্রম করে এই স্বপ্নকে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যায়।

সিভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকম : রন্ধন ছাড়া তো আরো অনেক খাত ছিল কিন্তু এটাকে বেঁচে নিলেন কেন?
সাবিনা ইকরাম সিরাজী : ছোট বেলা থেকেই প্রকৌশলী হওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বিয়ের পর সংসারী হওয়াতেই রান্না-বান্না শুরু করি এবং রান্না করে পরিবারের কাছ থেকে বেশ প্রশংসাও পাই। তখন থেকেই রান্না করার আগ্রহটা আরো বেড়ে যায়। পরে টিভিতে বিভিন্ন রান্নমূলক অনুষ্ঠান দেখেই ভালো রান্না করার আগ্রহটা আরো বেড়ে যায়। তখন থেকেই মনে মনে রন্ধনশিল্পী হওয়ার ইচ্ছাও জাগে। 

সিভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকম : আমাদের দেশে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নানান বাধা থাকে। পরিবার বা পরিবারের বাইরে এমন কোন বাধা এসেছিল যা অতিক্রম করে আপনাকে এগিয়ে যেতে হয়েছে?
সাবিনা ইকরাম সিরাজী : আমি যে পারি ভালো কিছু করতে এটাই প্রমাণ করতে অনেকবার ঘরে-বাইরে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। 
সিভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকম : কেবল বাধা নয়, আপনার চলার পথে সহযোগিতাও প্রয়োজন। এমন কোন সহযোগিতা পেয়েছেন যা আপনার সফল হওয়ার পেছনে ভূমিকা রয়েছে?
সাবিনা ইকরাম সিরাজী : পরিবারের ছোট-বড় সবাইকে আমি অনেক ভালোবাসি তারাও আমাকে অনেক ভালোবাসে। সবচেয়ে বেশি উৎসাহ পেয়েছি আমার মেয়ে সারিফ বিনতে নুর শেঠের কাছ থেকে এবং আমার স্বামী নুর আলম শেঠও অনেক সহযোগিতা করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছেন আমার বড় ভাই রাশেদুল ইসলাম সিরাজী

সিভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকম : আপনি কতটা সফল তার পেছনে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো কি কি?
সাবিনা ইকরাম সিরাজী : আমি ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক পুরস্কার International Women’s Entreprenelial Challenge award (IWEC) পেয়েছি এবং ২০১৬ সালে স্কয়ার গ্রুপ এর মাচরাঁঙ্গা টিভিতে প্রচারিত সেরা রাধুনী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সমগ্র বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগিদের মধ্যে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেছি। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরো অনেক সম্মাননা পেয়েছি।

সিভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকম : আপনার কাছে সফলতার মাপকাঠি কেমন হওয়া উচিত? 
সাবিনা ইকরাম সিরাজী : নিজ নিজ ক্ষেত্রে নিজের শতভাগ শ্রম দিয়ে সাফল্য অর্জন করা উচিত। পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ কিছু না কিছু প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। সেই প্রতিভাকে বিকশিত করতে পারাটাই হচ্ছে সফলতার মাপকাটি।

সিভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকম : দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীরা কি অবদার রাখছেন?
সাবিনা ইকরাম সিরাজী : অর্থনৈতিক উন্নয়নের নারীদের অনেক অবদান রয়েছে। প্রথমে গার্মেন্টস শিল্পের দিকে থাকান আমাদের দেশের প্রধান অর্থনৈতিক আয়ের প্রধান উৎস গার্মেন্টস শিল্প। যা নারীর শ্রম থেকে আসে। দেশের প্রতিটা ক্ষেত্রে এখন নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের ইটভাটা থেকে শুরু করে বড় বড় শিল্প কারখানায় বড় বড় পোস্টে নারীর অবদান রয়েছে। কৃষিতেও নারীর অবদান অনস্বিকার্য। 

সিভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকম : ধন্যবাদ আপনাকে।
সাবিনা ইকরাম সিরাজী : সিভয়েসকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

সিভয়েস/এএইচ

এহছানুল হক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়