করোনার ঝুঁকি এড়াতে বাড়িতে কী করবেন?
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে করোনার ঝুঁকি এড়াতে সারাদেশ লকডাউন করা হয়েছে। করোনাভাইরাস যেহেতু একটি ছোঁয়াচে রোগ সেই লক্ষ্যে গণজমায়েত যাতে না হয় তারজন্যই এমন ব্যবস্হা। ডাক্তাররা রীতিমতো নাগরিকদের সচেতন করছেন কীভাবে এই মহামারি রোগের আক্রমনণের ঝুঁকি থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে রক্ষা করা যায়। সচেতনতা বৃদ্ধিতে পিছিয়ে নেই স্বাস্হ্য অধিদপ্তরসহ সমাজের সকলেই। কিন্তু বাহির থেকে আপনি-আপনার ঘর কতটুকু নিরাপদ। আর নিরাপদ রাখতে করণীয় সম্পর্কে জানেন তো। না জানলে জেনে নিন কীভাবে এই ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে ঘরে আপনার করণীয় কি-
১. বাড়িতে সবাইকে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস রপ্ত করতে হবে।
২. বাড়ির মেঝে এবং অন্যান্য তল পরিষ্কার রাখার দুটি ধাপ আছে। দুই ধাপে পরিষ্কার রাখতে পারলে ভালো।
৩. প্রতিবার খাবার রান্না বা প্রস্তুতের আগে ও পরে, খাবার খাওয়ার আগে ও পরে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
৪. বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
৫. ঘরের দরজার হাতল, নব, টেলিফোন, রিমোট, সুইচসহ যেসব বস্তু বারবার ব্যবহৃত হয়, সেগুলো নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৬. রান্নাঘর, বাথরুম ও অন্যান্য ঘরের মেঝে, যেকোনো তল (যেমন থালাবাসন ধোয়ার জায়গা, সিঁড়িঘর, বারান্দা, টেবিল, রান্নাঘরের কেবিনেট টপ, সিঙ্কের আশপাশ ইত্যাদি) পরিষ্কার রাখতে হবে।
৭. কার্পেট, মাদুর, ম্যাট ইত্যাদি জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৮. কাশি বা হাঁচির সময় হাত বাড়ালেই টিস্যু পাওয়া যায় সেটা ব্যবস্হা করতে হবে।
৯. রান্না আর কুটাকুটির কাজে ব্যবহৃত বোর্ড, ছুরি, বঁটি সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
১০. পরিষ্কার করার আগে অবশ্যই হাতে গ্লাভস থাকতে হবে।
১১. বাইরে থেকে ফিরে যেকোনো বস্তু স্পর্শ করার আগেই হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
১২. বাইরের যেকোনো পার্সেল, প্যাকেট বা অন্য কিছু হাতে নেওয়ার পর হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
১৩. প্রবেশের মুখেই সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা।
১৪. বাইরে পরে যাওয়া জামাকাপড় দ্রুত বদলাতে হবে।
১৪. অতিথির সঙ্গে আপাতত হাত না মেলানো ভালো ।
উপরোক্ত নিয়মাবলী মেনে চলে আপনি নিজেও সুস্হ থাকুন, আপনার পরিবারকেও সুরক্ষিত রাখুন।
-সিভয়েস/এসসি/এমএম
সিভয়েস ডেস্ক