Cvoice24.com


করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রে 

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ১৬ মার্চ ২০২০
করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রে 

ফাইল ছবি।

করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় একটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করা হয়েছে  যুক্তরাষ্ট্রের একজন সরকারি কর্মকর্তা সূত্রে জানিয়েছেন বার্তা  সংস্থা আল-আরাবিয়ার। আজ সোমবার থেকে শুরু হবে। যেহেতু ওই পরীক্ষার ব্যাপারে কোনও ঘোষণা দেয়া হয়নি; তাই নাম গোপন করে ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রথম একজন ব্যক্তিকে পরীক্ষামূলক ওই ভ্যাকসিন দেয়া হবে। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ ওই ট্রায়ালের অর্থ সরবরাহ করেছে। ওয়াশিংটনের কায়সার পারমানেন্ট গবেষণা কেন্দ্রে ওই পরীক্ষার কার্যক্রম চালানো হবে। জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন পুরোপুরি অনুমোদন পেতে এক বছর থেকে দেড় বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ৪৫ জন স্বাস্থ্যবান যুবকের ওপর এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। তাদের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে ওষুধ প্রয়োগ করা হবে। এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট এবং বায়োটেকনোলজি কোম্পানি মোডেরনা ইনক। তবে এই ভ্যাকসিনে তাদের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। প্রথম পরীক্ষায় মূলত এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণ করা হবে এবং পরবর্তীতে বড় আকারে পরীক্ষার জন্য তৈরি করা হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকরা এরই মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কার্যকরভাবে করোনাভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য,  বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে ১৪৪ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৩৫১৭ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৫৭৩৫ জন। এখন পর্যন্ত সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।  আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। তাই ইউরোপের সব দেশ থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যারা এসে পরেছেন তাদের কঠোরভাবে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানা করা হবে। পরিবারগুলোকে আরো সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।  দেশে ইতোমধ্যে ২৪১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ১০ জন। আগের ৫ জনের মধ্যে ২ জন পুরুষ, একজন নারী ও ২ জন শিশু রয়েছে। বিদেশ থেকে কেউ এলে তার পরিবার বা আত্মীয়র সাথে যোগাযোগ বন্ধ রাখবেন এবং আগত ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিন রাখতে হবে। চীনে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৮৫৯ জন; আর প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ২১৩ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৭৪৭ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৮০৯ জন। 
সিভয়েস/এমআই/

 


 

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়