Cvoice24.com


আ.জ.ম নাছিরেই আস্থা নগরবাসীর

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০
আ.জ.ম নাছিরেই আস্থা নগরবাসীর

ফাইল ছবি

আ.জ.ম নাছির উদ্দীন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে তৃণমুল পর্যায়ে কর্মী-সমর্থক রয়েছে তার। সাংগঠনিক কারণে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোতে তৈরি হয়েছে একটি বলয়। এ বলয়কে কাজে লাগিয়েই তিনি নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কার্যক্রমকে করেছেন শক্তিশালী। তুলে ধরেছেন সরকারের নানা সাফল্য। প্রতিটি ওয়ার্ডের তৃণমূল পর্যায় থেকে সংগৃহিত তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে গ্রহণ করেন নানা ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। প্রশাসন ও সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত যোগাযোগ থাকার সুবাদে তিনি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডলোকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দ্রুত গতিতে। 

আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ‌নগরপিতার দায়িত্ব নিতে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে। নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থীদের মধ্যে কিছু নাম এরই মাঝে সামনে এসেছে। যাদের কর্মী-সমর্থকরা নিজ নিজ পছন্দের নেতাকে মেয়র হিসেবে দেখতে চান বলে দাবি উত্থাপন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা ও আলোচনা শুরু করেছেন। নির্বাচনের আগে দেওয়া বর্তমান মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের দেয়া ৩৫ দফা প্রতিশ্রুতি নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্নেষণ। 

ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহঃ ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল জনরায়ে নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। নির্বাচনী ইশতেহার মাথায় রেখে সত্যিকারের গ্রিন, ক্লিন সিটি তথা আধুনিক নগরের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করেছেন পুরো সময় জুড়ে। চট্টগ্রাম নগরে নান্দনিকতার ছোঁয়া দিয়েছেন। বিলবোর্ডমুক্ত করে ক্লিন ও গ্রিন সিটির পথে নগরীকে এগিয়ে গেছেন অনেকখানি। নগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো রাঙিয়েছেন নতুন রঙে। ঘরে ঘরে গিয়ে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে তিনি বেশ প্রশংসিত হয়েছেন। ২০০০ পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দিয়ে রাতের বেলা ময়লা পরিবহন শহরকে দুর্গন্ধমুক্ত করতে উদ্যোগ নেন। এ উদ্যোগের ফলে এখন গৃহস্থালির বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে সহজে। 

শতভাগ আলোকায়নঃ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নগরীকে শতভাগ আলোকায়নের আওতায় এনেছেন তিনি। আগ্রাবাদ, জুবিলী রোড, সিআরবিসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্ট সন্ধ্যার পরই অন্ধকারে নিমজ্জিত হতো। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর এক হাজার ৫৫৬টি সুইচিং পয়েন্টের মাধ্যমে ৫১ হাজার এনার্জি, টিউব, হাইপ্রেসার সোডিয়াম, এলইডি ও অন্যান্য বাতি দিয়ে সড়ক আলোকায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম চার বছরে নগরের গুরুত্বপূর্ণ প্রধান প্রধান সড়কে চার কোটি ৭৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকায় ৭০৫টি এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে। আর দুই কোটি ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় ৩৮১টি এলইডি বাতি স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। এছাড়া ২৭ কোটি ২ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যয়ে 'সোলার/নন-সোলার এলইডি স্ট্রিটলাইট প্রোগ্রাম ইন সিটি করপোরেশন নামের আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এসব উদ্যোগ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে চট্টগ্রাম নগর।

সৌন্দর্যবর্ধনঃ নগরের ৬০ লাখ মানুষের পথচলা নির্বিঘ্ন করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ফুটপাতগুলোকে সবুজায়নের মাধ্যমে করে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন।
এয়ারপোর্ট রোড, টাইগারপাস রোড, লালখান বাজার, কাজীর দেউড়ি, আউটার স্টেডিয়াম, আন্দরকিল্লা, জামালখান, চট্টেশ্বরী ও প্রবর্তক মোড় এলাকায় সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে। নিউমার্কেট থেকে পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সড়ক, জিপিও এবং শাহ আমানত শপিং কমপ্লেক্স পর্যন্ত এলাকার প্রায় ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার রাস্তার মিড আইল্যান্ড ও ফুটপাতের সৌন্দর্যবর্ধন করা হচ্ছে। ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কে নৌকার ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে। আউটার স্টেডিয়ামের একাংশে দৃষ্টিনন্দন সুইমিং পুল করা হয়েছে। জাতিসংঘ পার্ক সংস্কার করা হয়েছে। 

স্বাস্থ্য সেবাঃ গত ৫ বছরে প্রায় ১৭ লাখ রোগীকে সেবা দিয়েছে চসিক। ইপিআই টিকা কার্যক্রমে পেয়েছে একাধিকবার পুরস্কার পেয়েছি। নগরের ১৪ লাখ ৪০ হাজার দরিদ্র বা হতদরিদ্র মানুষ আছে। তাদের জন্য পূর্বনির্ধারিত ৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ টাকা ফিতে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নানা প্রসঙ্গে সিভয়েসের সাথে খোলামেলা কথায় মেয়র তুলে ধরেছেন নগরকে ক্লিন ও গ্রিন সিটিতে রূপান্তরে কথা। এরপরও অনেক কাজ বাকি আছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তুলে ধরেছেন বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।

সিভয়েস: নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে গ্রহণ করেন নতুন নতুন প্রকল্প। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রতিশ্রুতির কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন?

আ.জ.ম নাছির উদ্দীন: দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রতিশ্রুতির কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছি সে হিসেব কষতে নগরের ৪১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছি। এসব বৈঠকে প্রতিটি ওয়ার্ডে কী কী উন্নয়ন হয়েছে এবং কী কী সমস্যা এখনও বিরাজমান, তা চিহ্নিত করেছি। যেসব সমস্যা এখনও বিরজমান পুনরায় দায়িত্ব পেলে তা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে পারবো। ২০ বছরে সিটি করপোরেশন প্রকল্প পেয়েছিল দুই হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। এ হিসাবে গত সাড়ে চার বছরের অর্জন ছাড়িয়ে গেছে অতীতের ২০ বছরকে।

সিভয়েস: ডোর টু ডোর পদ্ধতিতে বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ কার্যক্রমে নিজেকে কতটুকু সফল  মনে করছেন? 

আ.জ.ম নাছির উদ্দীন: আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল। তার আগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে ছিল উন্মুক্ত ডাস্টবিন সে কারণে যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হতো। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ডোর টু ডোর প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এ প্রকল্পের ধারাবাহিকতা ধরে নগরবাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছি ময়লা রাখার ৯ লাখ প্লাস্টিক বিন। এছাড়াও ঘরে ঘরে গিয়ে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করার নতুন একটি ধারা প্রবর্তন করেছি। দিনের বেলা না করে রাতে ময়লা পরিবহন করে শহরকে দুর্গন্ধমুক্ত করেছি।

সিভয়েস: নগরের বিলবোর্ড উচ্ছেদ কাজ করাটা কেমন চ্যালেঞ্জ ছিল?

আ.জ.ম নাছির উদ্দীন: যেকোন কাজ মানেই চ্যালেঞ্জ। তেমনি চট্টগ্রাম নগরীতে সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার ব্যাপারটাও ছিল কঠিনতম এক চ্যালেঞ্জ। বিলবোর্ড দিয়ে যারা পুরো নগরীর আকাশ ঢেকে রেখেছিল, তাদের অনেকেই আমার দলের লোক ছিল। তারপরও কঠোর ছিলাম আমি। তাই দায়িত্ব গ্রহণের এক মাসের মধ্যেই উচ্ছেদ করেছি প্রায় ৪ হাজার বিলবোর্ড, ইউনিপোল ও মেগা সাইন। 

সিভয়েস: নগরবাসীও নগরকে শতভাগ আলোকায়ন করার প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ হয়েছে বলে মনে করেন?

আ.জ.ম নাছির উদ্দীন: নগরকে শতভাগ আলোকায়ন করার প্রতিশ্রুতি শতভাগ পূরণ করেছি। আগে আগ্রাবাদ, জুবিলী রোড, সিআরবিসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্ট সন্ধ্যার পরই অন্ধকারে নিমজ্জিত হতো। দায়িত্ব গ্রহণের পর এক হাজার ৫৫৬টি সুইচিং পয়েন্টের মাধ্যমে ৫১ হাজার এনার্জি, টিউব, হাইপ্রেসার সোডিয়াম, এলইডি ও অন্যান্য বাতি দিয়ে সড়ক আলোকায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সিভয়েস: নগরের গুরুত্বপূর্ণ প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে কতটুকু এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে বা কোন পর্যায়ে? 

আ.জ.ম নাছির উদ্দীন: আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে ইতোমধ্যে নগরের গুরুত্বপূর্ণ প্রধান প্রধান সড়কে ৪ কোটি ৭৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকায় ৭০৫টি এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে। আর ২ কোটি ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় ৩৮১টি এলইডি বাতি স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। 

সিভয়েস: এলইডি বাতি স্থাপন প্রকল্প ছাড়া আর কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে কিনা?

আ.জ.ম নাছির উদ্দীন: ‘সোলার/নন-সোলার এলইডি স্ট্রিটলাইট প্রোগ্রাম ইন সিটি করপোরেশন’ নামের আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এটি প্রায় ২৭ কোটি ২ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ উদ্যোগ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম নগর বদলে যাবে।

সিভয়েস: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক চলমান প্রকল্পগুলো কী কী?

আ.জ.ম নাছির উদ্দীন: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাসমূহের উন্নয়ন এবং নালা, প্রতিরোধ দেয়াল, ব্রীজ ও কালভার্ট এর নির্মাণ/ পুননির্মাণ, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সম্প্রসারণ ও উন্নয়নসহ আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, বহদ্দারহাট বারইপাড়া হতে কর্নফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন, বিভিন্ন এলাকার ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস/ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাস নির্মাণ।

 

সিভয়েস: আপনি কি মনে করেন চসিক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছতে পেরেছে?

আ.জ.ম নাছির উদ্দীন: গত সাড়ে চার বছরে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। আরও প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অথচ সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দায়িত্ব পালনের ১৫ বছর ও মোহাম্মদ মনজুর আলমের ৫ বছরসহ মোট ২০ বছরে সিটি কর্পোরেশন প্রকল্প পেয়েছিল ২ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। এ হিসাবে গত সাড়ে ৪ বছরের অর্জন ছাড়িয়ে গেছে অতীতের ২০ বছরকে। সেই হিসেবে আমি মনে করি বিগত বছরগুলো তুলনায় চসিক এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। 

সিভয়েস: নগরীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করার মূল দাবিটা কতটুকু পূরণ হয়েছে বলে মনে করছেন?

আ.জ.ম নাছির উদ্দীন: জলাবদ্ধতার যে প্রতিশ্রুতির কথা বারেবারে বলা হয়। আশা করি, সেটিও পূরণ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন না করলেও জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়ে তারা এ কাজ করছে। আমরা তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। 

সিভয়েস: ফের মেয়র নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার আশ্বাস কতটুকু দেখছেন? 

আ.জ.ম নাছির উদ্দীন: মনোনয়ন কে পাচ্ছেন, কাকে নির্ধারণ করছেন তা একান্ত আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত। তিনি সব খবরা খবর রাখেন। নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার আশ্বাসের কথা বলতে গেলে এটিও আমার নেত্রী সিদ্ধান্ত। কেননা, যদি নেত্রী আমার ওপর ফের আস্থা রাখতে পারেন। তাহলে আমি আবারও নেত্রীকে বিজয় উপহার দিতে পারবো। 

সিভয়েস: আপনার দলেই তো মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক প্রার্থী আছেন, সে ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?

আ.জ.ম নাছির উদ্দীন: নগরবাসী নিশ্চয়ই ভালো মন্দ বুঝেন। তারা সব কাজের ভালো-মন্দ মূল্যায়ন করার দাবিদার। সবাই জানেন দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বড় দল আওয়ামী লীগ।  সবারই তো ইচ্ছা থাকে সেবামূলক কাজ করার। সে ক্ষেত্রে মেয়র নির্বাচনে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে দলীয় সভানেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার পক্ষে কাজ করবে সবাই। দলের সবাই নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে নয়। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই এখানেই সব। তাই নেত্রী যেটা সিদ্ধান্ত নিবেন, আমি নেত্রীর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে হাসিমুখে মেনে নিব। 

সিভয়েস: নগরকে সুন্দর রুপ দিতে ৫ বছর যথেষ্ট সময় কিনা?

আ.জ.ম নাছির উদ্দীন: নগরকে আমূল বদলে দেওয়ার জন্য ৫ বছর যথেষ্ট সময় নয়। তবে ভুল ত্রুটি ধরতে পারার জন্য ৫ বছরই অনেক কিছু। তবে আমি এ ৫ বছরে যে প্রকল্পগুলো হাতে নিয়ে সময়ের কারণে বাস্তবায়ন করতে পারিনি। যদি আবারো মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয় তাহলে বাকি থাকা প্রকল্পগুলো আমি বাস্তাবায়স করতে পারবো। 

সিভয়েস: পুনরায় মেয়র হিসেবে মনোনয়ন চান কেন?

আ.জ.ম নাছির উদ্দীন: আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে চট্টগ্রামে ব্যাপক প্রকল্প হাতে নিয়েছি। তার অনেকাংশে বাস্তবায়ন করেছি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন গৃহীত প্রকল্প বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া হতে কর্ণফূলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খনন, জাইকার অর্থায়নে স্কুল/সাইক্লোন সেন্টার ও ডিজেষ্টার ম্যানেজমেন্ট ভবন, সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক, এলইডি প্রকল্প, পশু জবাইখানা, সেবক কলোনী, নগর ভবন নির্মাণ, স্মার্ট সিটি, চার লাইনে এয়ারপোর্ট রোড সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন, বিন্নাঘাস প্রকল্প, জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৮২টি রাস্তার মেরামত এবং হাইটেক পার্ক, আইসিসিটি পার্ক, অত্যাধুনিক কিচেন মার্কেটসহ বিভিন্ন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। পুনরায় মনোনয়ন পেলে এসব প্রকল্পের ধারাবাহিকতার রক্ষার পাশাপাশি নগর উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করবো।

-সিভয়েস/এমএম/এএস

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়