ছবিতে সাতকানিয়ায় পাহাড় ঘেঁষে ইটভাটা
ছবি-প্রতিনিধি
সাতকানিয়া ও বাঁশখালী সীমান্তের লটমনি ও চুড়ামনি এলাকা। পাহাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ৬টি অবৈধ ইটভাটা। এসব ইটভাটায় পাহাড় ও বনের কাঠ কেটে তৈরি হচ্ছে ইট। বছরের পর বছর এসব অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম চললেও নীরব রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে, নিয়মিত স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাসোহারা দিয়ে অবৈধ এসব ইটভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যান মালিকরা। সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় বেশ কিছু দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসনের এসব কর্মকর্তা। গত মঙ্গলবার লোকদেখানোা এক অভিযানে যান তারা। সেখানে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা ৭ ঘন্টায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দিয়ে মাত্র ২টি অবৈধ ইটভাটায় নামমাত্র পানি ছিটিয়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অথচ ২০ থেকে ৩০ ফুট দূরত্বের মধ্যেই রয়েছে আরো ৪টি অবৈধ ইটভাটা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা খাতুন, বাঁশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) বশিরুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপঙ্কর তঞ্চঙ্গা, পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক হারুনর রশিদ পাঠান, সাতকানিয়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দুইটি টিম। অভিযানে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থেকেও ৭ঘন্টায় অভিযান চলেছে মাত্র দুইটি অবৈধ ইটভাটায়। স্থানীয়রা বলছেন, মাসিক মাসোহারার জন্য ইটভাটা মালিকদের ভীতিতে রাখার জন্যই লোকদেখানো এ অভিযান চলেছে।
সাতকানিয়া প্রতিনিধি