Cvoice24.com


তেল-চিনি ও পেঁয়াজের বাজারে উত্তাপ!

প্রকাশিত: ১৪:০৪, ২২ আগস্ট ২০১৯
তেল-চিনি ও পেঁয়াজের বাজারে উত্তাপ!

ফাইল ছবি।

বাজেটে রাজস্ব বৃদ্ধি, আমদানি কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে তেল-চিনি-পেঁয়াজের পাইকারি দাম বাড়িয়েই চলেছে পরিবেশক ও আড়তদাররা। এতে করে প্রতিদিন বিভিন্ন খুচরা বাজারে এসব ভোগ্য পণ্যের মূল্য বাড়ছে। ফলে বেগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) নগরীর খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ও আড়ত ঘুরে মূল্য বৃদ্ধির এমন হিড়িক দেখা যায়।

তবে সাধারণ ভোক্তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকটের অভিযোগ তুললেও তা মানতে নারাজ পরিবেশক ও আড়তদাররা। তারা বলছেন, সরকার চলতি বছরের বাজেটে রাজস্ব বাড়িয়েছে। তাই তেল ও চিনির বাজারে এর প্রভাব পড়ছে। এছাড়া চীন ও ভারত থেকে কাঁচামালের আমদানি ও দেশিয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।

দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, গত দুই দিনে চাহিদা না থাকলেও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৩-৪৫ টাকা হয়েছে। যা খুচরা বাজারে বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। এছাড়া পাইকারিতে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে রসুন ও আদা। এর মধ্যে চীনা রসুন ১৩০-৩৫ টাকা এবং চীনা ও বার্মিজ আদা ১০৮-১১৫  টাকা।

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কাঁচা পণ্য আড়তদার মো. জাবেদ ইকবাল সিভয়েসকে বলেন, চাহিদা কম থাকলেও গত পরশু থেকে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমদানি কম থাকায় এমনটা হয়েছে। তবে আগামী রবি-সোমবার নাগাদ দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশিয় কাঁচামালের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে দেশি কাঁচামাল নেই। তবে কারো কারো কাছে মজুদ থাকলেও দাম বেশি। এসময় কোনো সিন্ডিকেট দাম বাড়াচ্ছে না বলেও দাবি করেন এ ব্যবসায়ী। কারণ হিসেবে তিনি জানান, তাদের পণ্যগুলো পঁচনশীল। তাই কেউ গুদামজাত করেনা। তবে মাঝে মাঝে যানজট ও পরিবহন সংকটের জন্য দাম বাড়ে।

এদিকে চিনি ও তেলের বাজারেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ১০০ টাকা বাড়িয়ে প্রতি মণ (৩৭ কেজি) চিনির পাইকারি মূল্য রাখা হচ্ছে ১ হাজার ৯৫৫ থেকে ১ হাজার ৯৮০ টাকা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত এমন মূল্য দেখা যায়। এর মধ্যে ইগলু ১ হাজার ৯৫৫, মেঘনা ১ হাজার ৯৭০ ও সিটি ব্যান্ডের চিনির প্রতি মণ (৩৭ কেজি) ১ হাজার ৯৮০ টাকা রাখা হচ্ছে। এতে পাইকারি মূল্যে কেজি প্রতি দাম পড়ছে ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা পর্যন্ত। ফলে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৫৮ টাকায়।

অন্যদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় পামওয়েল, সয়াবিন ও সুপার পাম তেলের মণেও (৩৭ কেজি) দাম বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে টি.কে, সিটি ও এস আলম ব্যান্ডের প্রতি মণ (৩৭ কেজি) পামওয়েল ২ হাজার ২২০, সয়াবিন ২ হাজার ৮৫০ ও সুপার পামের দাম রাখা হচ্ছে ২ হাজার ৩১০ টাকা পর্যন্ত।

এতে পাইকারিতে প্রতি কেজি পামওয়েল ৬০ টাকা, সয়াবিন ৭৭ টাকা ও সুপার পামের দাম পড়ছে ৬২ টাকা পর্যন্ত। ফলে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৬৩-৬৪ টাকা, ৮৫-৮৬ টাকা ও ৬৬-৬৭ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া নামি-দামি বিভিন্ন ব্যান্ডের বোতলে প্রক্রিয়াজাতকৃত সয়াবিনের প্রতি লিটারের দাম রাখা হচ্ছে ৮৭-৯০ টাকা পর্যন্ত।

খাতুনগঞ্জ তেল-চিনির অন্যতম পরিবেশক আর.এম এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী এবং চিটাগাং চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক আলমগীর পারভেজ সিভয়েসকে বলেন, গত ২ মাস থেকে প্রতিনিয়তই তেল-চিনির দাম বাড়ছে। পাইকারিতে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে প্রতি মণ চিনি ও তেলে প্রায় ১০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময় তিনি বাজেটে সরকার ডিউটি (টেক্স) বাড়ানোয় এমনটা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।

-সিভয়েস/এসএ

ফয়সাল আব্দুল্লাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়