Cvoice24.com


হালিশহর বিচে বইছে আনন্দের জোয়ার

প্রকাশিত: ১৩:৪২, ১৪ আগস্ট ২০১৯
হালিশহর বিচে বইছে আনন্দের জোয়ার

ছবি : সিভয়েস

সকাল থেকে কিছুক্ষণ বৃষ্টি, কিছুক্ষণ রোদ। এমন বৈরি আবহাওয়াতেও পর্যটকদের ভিড় দেখা যায় চট্টগ্রাম হালিশহর বিচে (দক্ষিণ কাট্টলি বিচ)। ঈদের দু’দিন পার হলেও প্রিয়জনের সাথে এখনো আনন্দ উপভোগ করছেন নগরীর বিনোদন প্রিয় মানুষগুলো। বিভিন্ন বয়সের মানুষের পদচারণায় মুখরিত হালিশহর দক্ষিণ কাট্টলির এই সমুদ্র সৈকত।

সৈকতে এসে কেউ মেতেছেন ছবি তোলায়, কেউ বা সমুদ্র স্নানে, কেউ হাঁটছেন প্রিয় মানুষটির হাত ধরে, আবার কেউ উড়াচ্ছেন ঘুড়ি। কেউ কেউ সাগরের বুকে চড়ছেন স্পিড বোট নিয়ে। অনেক তরুণকে দেখা যায় ফুটবল খেলতে। পুরো বিচজুড়ে বইছে অন্যরকম এক আনন্দের জোয়ার।  

সিলেট থেকে ঈদ করতে আসা আকতার নামের একজন বলেন, বন্ধুদের সাথে বছরে দু’একবার দেখা হয়। ঈদ উপলক্ষে সবাইকে একসাথে পেয়েছি, তাই সৈকতে ফুটবল খেলে আনন্দ উপভোগ করছি।

আগ্রাবাদ থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা সেলিম খান সিভয়েসকে বলেন, প্রতিবছর পতেঙ্গা, নেভাল যেতাম। যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় এবার সেদিকে যাওয়া হয়নি। তাই হালিশহর বিচে আসলাম। ভালো লাগছে এখানে।

অন্যান্য সমুদ্র সৈকতের মতো এখানেও রয়েছে ফটোগ্রাফারের দল। তারা পর্যটকদের প্রতি ছবি ১০টাকা কিংবা ৫টাকা করে তোলে দিচ্ছেন । পর্যটকরা তাদের পছন্দের ছবিগুলো মেমরিতে স্থানান্তর করে নিচ্ছেন।

এখানে অবস্থিত দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের খাবার। তবে খাবার মান নিয়ে আক্ষেপের কথা জানান ক্রেতারা। তারা বলেন, খাবারের মান আরো ভালো হওয়া দরকার। যেহেতু এখানে অনেক লোকজন এখন ঘুরতে আসে তাই ব্যবসায়ীদেরকে ভালো খাবার পরিবেশনের দিকে জোর দিতে হবে।

ঘুরাঘুরি শেষে বাড়ি ফেরার সময় কেউ কেউ কিনে নিচ্ছেন তাজা ইলিশ মাছ। তবে ক্রেতাদের দাবি প্রচুর ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তবুও জেলেরা বেশি দামে বিক্রি করছেন। ফলে অনেকে কিনতে চাইলেও দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারছেন না।

-সিভয়েস/এসএ

ইকবাল হোসেন

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়