Cvoice24.com


চট্টগ্রামে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের আন্দোলন, ভ্রুক্ষেপ নেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের

প্রকাশিত: ১০:৫০, ৫ জুলাই ২০১৯
চট্টগ্রামে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের আন্দোলন, ভ্রুক্ষেপ নেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবিতে দলের বিভিন্ন পর্যায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে চলা আন্দোলন নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের। কয়েক বছর ধরে সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের নেতৃত্বাধীন মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিকে মেয়াদোত্তীর্ণ বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে এই কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন মহানগর ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

আন্দোলনরত এসব নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১১জুন গঠিত এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৫ সালেই। মেয়াদ শেষ হওয়ার বছর পেরিয়ে গেলেও এই দীর্ঘ সময়ে নগরীর ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে ন্যুনতম ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে এই কমিটি।

জানা গেছে, কমিটি গঠনের সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে নগরের আওতাধীন সকল কলেজ, থানা ওয়ার্ড শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেসব ইউনিটে কমিটি দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয় মহানগর ছাত্রলীগকে। এরপর মেয়াদের অতিরিক্ত চার বছর দায়িত্বপালন করেও এখন পর্যন্ত কয়েকটি ইউনিট ছাড়া বেশিরভাগ ইউনিটেই কমিটি গঠন করতে পারেনি মহানগর ছাত্রলীগ।

এছাড়া বর্তমান কমিটির বেশিরভাগ সদস্যই অছাত্র এবং বিবাহিত, এমনকি অনেকের ছেলে মেয়েরাও স্কুলে যাচ্ছে এমনটাই দাবি নগর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের।

মহানগর ছাত্রলীগের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিভয়েসকে বলেন, বর্তমান কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু নিজেই বিবাহিত। এছাড়া বর্তমান কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে থাকা ৩৪ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা জন সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থাকা জনের মধ্যে হাতেগোনা / জন ছাড়া সবাই বিবাহিত।

এছাড়া কমিটির অনেক সদস্য হত্যা মামলা, অস্ত্র মামলা, ঠিকাদারীসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত দাবি করে নগর ছাত্রলীগের একজন নেতা জানান, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান বাদল হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি, একজন সম্পাদকীয় পদধারি নেতা চান্দগাঁও থানায় অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। এমনকি খোদ ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারির বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজির মামলা। আগ্রাবাদে একটি শিপিং কোম্পানিতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে সংগঠন থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তিনি।

এতসব অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধন পোস্টার সাঁটানোসহ বিভিন্নভাবে আন্দোলন করেও কোনো ফলাফল মেলেনি। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এসব অভিযোগ অনুযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে কোনো উদ্যোগ নিতেও দেখা যায়নি। এই বিষয়টাকে দুঃখজনক দাবি করে ছাত্রলীগের একজন নেতা বলেন, এই যে একেবারে মাঠ পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরেও কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে না, এটা সংগঠনের জন্যই ক্ষতিকর। এটা তৃণমূলের কর্মীদের প্রতি কেন্দ্রীয় নেতাদের কমিটমেন্টের ব্যাপারে প্রশ্ন উঠার সুযোগ করে দিচ্ছে। যেটা কোনভাবেই কাম্য নয়।

এই বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে কথা বলতে তাদের মুঠোফোনে কল এসএমএস দেওয়া হলে কোনো সাড়া মেলেনি।

-সিভয়েস/এআরটি/এএইচ/এসএ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়