Cvoice24.com


ফটিকছড়িতে আষাঢ়েও মিলছে মৌসুমী ফল

প্রকাশিত: ১১:৫০, ২০ জুন ২০১৯
ফটিকছড়িতে আষাঢ়েও মিলছে মৌসুমী ফল

ছবি সিভয়েস

ফটিকছড়িতে বর্ষা মৌসুম আষাঢ়েও মিলছে মৌসুমী রসালো ফলমূল। সাধারণত বৈশাখ- জৈষ্ঠ্যের মৌসুমী ফলমূল আষাঢ় মাসেও ব্যাপকভাবে পাওয়া যাচ্ছে উপজেলার সর্বত্র। বাগান কিংবা হাট-বাজার সবখানেই রসালো ফল চোখে পড়ছে।বাতাসে ভাসছে মৌসুমী ফলের মৌ মৌ সু-গন্ধ। বিকিকিনিও চলছে বেশ।

এদিকে, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে জমে উঠেছে মৌসুমী ফলের বাজার। আম, জাম, আনারস, কাঁঠাল, জামরুলসহ বাহারি মৌসুমী ফলে সয়লাব উপজেলার হাটবাজার। তবে দাম একটু চড়া হওয়ায় নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষগুলো চাহিদা অনুযায়ী ক্রয় করতে পারছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে আম, কাঁঠাল, আনারস ভাল ফলে। তাই ফলের বাগান করা ছাড়াও বসত ভিটায় ফলের গাছ লাগিয়ে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন অনেকে।

এছাড়া বিক্রেতারা র্পাবত্য অঞ্চলের হাটবাজার থেকে সংগ্রহ করে ফটিকছড়িতে বিক্রি করে বিধায় ক্রেতারা খুব সহজে ক্রয় করতে পারছেন মৌসুমী ফল। ইতোমধ্যে উত্তর ফটিকড়ির হাটবাজারগুলোতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীদের সমাগমে সরব হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে অঞ্চলের উৎপাদিত কাঁঠাল সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে উপজেলার নাজিরহাট, বিবিরহাট, নানুপুরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে।

সরেজমিনে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, মৌসুমী ফলমূল আম, জাম, কাঁঠাল, আনারস, খেজুর, জামরুলসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফলে বাজার সয়লাব।এসব মৌসুমী ফল ক্রয়ে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষণীয়। তবে দাম কিছুটা চড়া হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলো চাহিদা অনুযায়ী ক্রয় করতে পারছে না। ছোট সাইজের প্রতি কাঁঠাল ৫০-৮০টাকা, মাঝারি সাইজের প্রতি কাঁঠাল ১০০-১৫০টাকা, বড় সাইজের প্রতি কাঁঠাল ২০০-৩০০পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দেশিয় আম প্রতি কেজি ৪০-৬০ টাকা, গোপালভোগ, মোহনভোগ, ল্যাংড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতের আম বিক্রি হচ্ছে ১০০-২৫০টাকা র্পযন্ত।

দিনমজুর খোরশেদুল আলম বলেন, বছরের ফল হিসেবে পরিবারের জন্য ক্রয় করছি। দাম বেশি হওয়ায় চাহিদামত ক্রয় করতে পারছি না।

বিক্রেতা বাবুল বলেন, দাম বেশি হলেও বিক্রি ভাল হচ্ছে তবে কিছুদিন পর দাম কমবে, তখন বেচা বিক্রি আরো ভাল হবে।

-সিভয়েস/এএস/এসএ

রফিক তালুকদার, ফটিকছড়ি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়