এলপি গ্যাস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান, জরিমানা
ছবি সিভয়েস
লাইসেন্সহীন এলপি গ্যাসের ব্যবসা ও অনুমোদন অতিরিক্ত গ্যাসের সিলিন্ডার সংরক্ষণ ও বিক্রির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। একইসঙ্গে প্রথমবারের মত সতর্ক করা হয় এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীদের।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল থেকে নগরীর ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং রোড এলাকায় পরিচালিত অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান। অভিযানে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সহকারি বিস্ফোরক পরিদর্শক মুহাম্মদ মেহেদি ইসলাম খানসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন।
অভিযানে দেখা যায়, এলপি গ্যাস বিক্রির দুটি প্রতিষ্ঠান বিস্ফোরক পরিদপ্তর বরাবর এলপি গ্যাসের লাইসেন্স’র আবেদন করলেও এখনো লাইসেন্স পায়নি। লাইসেন্স ছাড়াই গ্যাসের ব্যবসা পরিচালনা করছে। অভিযানে এর সত্যতা পাওয়ায় ফাহাদ এন্টারপ্রাইজকে ৫ হাজার এবং মালেক শাহ স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি দুটি প্রতিষ্ঠানকে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সময় বেধে দেয়া হয়।
একই অভিযানে দেখা যায়, আরো দুটি প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স থাকলেও তারা অনুমোদনের চাইতেও বেশি সিলিন্ডার সংরক্ষণ করে বিক্রি করছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এলপি গ্যাস ব্যবসার চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খাজা ট্রেডার্সে অভিযান পরিচালনাকালে দেখা যায়, ৫শ’ কেজি (৪০টি) সিলিন্ডার বিক্রির অনুমোদন পেলেও তারা বিক্রির উদ্দ্যেশে ১৫০টি এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার সংরক্ষণে রেখেছে। এ অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই অভিযানে লাইসেন্সে অনুমোদন ৪০টি ( ৫০০ কেজি) এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার সংরক্ষণ ও বিক্রির বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হলেও তা উপক্ষো করে অনুমোদন অতিরিক্ত ( প্রায় ২৫০টি) এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার সংরক্ষণ ও বিক্রি করার অপরাধে নিউ রুপালী ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটিকে আবাসিক এলাকা হতে সরে গিয়ে অন্যত্র ব্যবসা পরিচালনার জন্য ১০দিন সময় দেয়া হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
-সিভয়েস/এমআইএম/এমএ
সিভয়েস প্রতিবেদক