Cvoice24.com


দম ফেলার ফুরসত নেই খলিফা পট্টির দর্জিদের

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ১০ মে ২০১৯
দম ফেলার ফুরসত নেই খলিফা পট্টির দর্জিদের

ছবি : মিনহাজ ঝন্টু

সারাবছর ব্যস্ত সময় পার করে খলিফা পট্টির খলিফারা (দর্জি)। এখানকার দর্জিদের ব্যস্ততা রাত-দিন সমান। শুধু রমজান মাস বলে নয়, সারা বছরই ব্যস্ত থাকেন তারা। তবে রমজানের এক মাস আগের থেকে বেড়ে যায় কাজের চাপ। সেই সাথে তাদের কাটাতে হয় নির্ঘুম রাত।

নগরীর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের খুব ছোট্ট একটা জায়গার নাম খলিফা পট্টি। যা সবার মাঝে দর্জিপাড়া নামেই বেশ পরিচিত। চট্টগ্রামের স্থানীয় ভাষায় দর্জিকে খলিফা বলা হয়। দর্জি বা খলিফাদের নামানুসারেই এ এলাকার নাম বা খ্যাতি-খলিফাপট্টি।

জানা যায়, ১৯৫০ এর দশকে নোয়াখালী বেগমগঞ্জের ফেরিওয়ালা আইয়ুব আলীর হাত ধরেই গড়ে উঠে এ খলিফাপট্টি। এখানে রয়েছে ৪২০টিরও বেশি দোকান। প্রতিটি দোকানে রয়েছে নিজস্ব পোশাক তৈরির কারখানা। এই খলিফা পট্টিতে জীবিকা নির্বাহ করে কয়েক হাজারেরও বেশি পোশাক শ্রমিক।

নগরীর খলিফা পট্টির খলিফা পাড়ায় শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তারা ঈদ এবং বিশ্বকাপের জার্সি বানাতে ব্যস্ত। সামনের বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জার্সি তৈরির কাজে।

কথা হয় কারিগর মো. সেলিমের সাথে। তিনি বলেন, শবে বরাতের পর থেকে আমাদের কর্ম ব্যস্ততা আরো বেড়ে গেছে। এমনি সারাবছর ব্যস্ত  থাকি। আর এইবার ঈদের অর্ডারের পাশাপাশি বিশ্বকাপের জার্সি বানানোর অর্ডারও বেড়েছে অনেক। এটি আমাদের জন্য একটি ভালো দিক। ঈদ এবং বিশ্বকাপ এ দুটো একসাথে হওয়ায় চাপ বেড়েছে। আমাদের আয়ের দিকটাও বাড়ার সুযোগ হচ্ছে।

আরেক কারিগর মো. ফরিদ বলেন, ঈদের কাপড়ের অর্ডারের চেয়ে বিশ্বকাপের জার্সির অর্ডার বেশি হয়েছে। আগের তুলনায় অন্যান্য অর্ডারের পরিমাণ কম। হয়ত, রোজা আর কয়েকটি পেরুলেই অর্ডার বাড়তে পারে।

দৈনিক কতক্ষণ কাজ করতে হয় জানতে চাইলে শফিক বলেন, এখানেই খায়, এখানেই ঘুমায়। সকাল থেকেই সেহেরি পর্যন্ত চলে কর্মযজ্ঞ। রমজান আসলে কাজের চাপ বেড়ে যায় বলেই এখানে রাত-দিন কাজ চলতে থাকে।

-সিভয়েস/এসএ

মিনহাজ মুহি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়