Cvoice24.com


সেবা গ্রহীতাদের দ্বারে ‘ভিজিট ইন্ডিয়া’

প্রকাশিত: ১২:২২, ২৩ মার্চ ২০১৯
সেবা গ্রহীতাদের দ্বারে ‘ভিজিট ইন্ডিয়া’

ভিজিট ইন্ডিয়া

ভ্রমণ, চিকিৎসা, ব্যবসা-কেনাকাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কারণেই বাংলাদেশি নাগরিকদের আস্থা এবং পছন্দের প্রতীক বন্ধুরাষ্ট্র ভারত। তবে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ব্যাপারে যথাযথ জ্ঞান না থাকায় এসব প্রয়োজন পূরণ করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই তাদের বিভিন্ন জটিলতায় ভুক্তভোগি হতে হয়। পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির শিকারও হতে হয়। 

সম্পর্কের প্রসারিত মনোভাব থেকে সেবাগ্রহীতাদের এসব দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আঞ্চলিক ভিসা সেন্টারসহ নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভারতীয় দূতাবাস। এর ধারাবাহিতকায় অন্যান্য সেবা মানুষের কাছে তুলে ধরতে চট্টগ্রামে পলোগ্রাউন্ড মাঠে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ‘ভিজিট ইন্ডিয়া’ নামে স্টলের উদ্বোধন করেছে ভারতীয় দূতাবাস, চট্টগ্রাম।

স্টলে বিভিন্ন ম্যাগাজিন এবং দেশটির মানচিত্রের মাধ্যমে ভারতের পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুল ধরা হচ্ছে। একইসাথে পছন্দের স্থানের যাবতীয় খুটিনাটি বিষয়বলি দিয়ে সহায়তা করছেন স্টলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।

শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুর ১২ টায় ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী এ স্টলের উদ্বোধন করেন। এসময় চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডিাস্টির সভাপতি মাহবুবুল আলম, ফ্রাস্ট সেক্রেটারী অব ইন্ডিয়ান শুভাশীষ সিং, অনিন্দ্য ব্যানার্জীর সহধর্মিণী রুমা ব্যানাজীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, মূলত তিনটি কারণে বাংলাদেশী মানুষ ভারতে যায়। আগে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ভিসার জন্য মানুষদের কষ্ট পোহাতে হতো। এ বছর থেকে আমরা চট্টগ্রামের নোয়াখালী, কুমিল্লা ও বাহ্মণবাড়িয়ায় ভিসা সেন্টার খুলেছি। এতে তাদের অনেক কষ্ট লাঘব হবে। 

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ লোক ভারত ভ্রমণে যায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ২০১৭ সালে ১ লক্ষ সাত হাজার ভিসা দিয়েছি। ২০১৮ সালে ১ লাখ ৮৯ হাজার হয়েছে। অথাৎ ১৮ শতাংশ বেড়েছে। আর পুরো বাংলাদেশ সাড়ে ১৪ লক্ষ ভিসা প্রসেস হয়েছে। ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র সাত লক্ষ।

ভারতের সাথে বাংলাদেশর সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন খুবই ভালো। সে ১৯৭১ সাল ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে। 

গত দুই-তিন দশকে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে পা দিয়ে বুঝেছি সেই বাংলাদেশ আর নাই, এই বাংলাদেশ অনেক অনেক উন্নত। চোখে পড়ার মতো অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এর পুরো কৃতিত্ব বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের। 

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে মাহবুবুল আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কঠিন দিনগুলোতে ভারত আমাদের পাশে থেকে অকৃত্রিম বন্ধুর পরিচয় দিয়েছে। ১৯৭১ সালে যে বন্ধুত্বের শুরু তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমরা এ সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে ভারতের আরও সহযোগিতা চাই। দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে এনে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বাড়াতে চাই।

-সিভয়েস/এস

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়