Cvoice24.com


জোড়া খুনের মামলায় ৩ আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৭:৫৭, ১৪ মার্চ ২০১৯
 জোড়া খুনের মামলায় ৩ আসামি গ্রেফতার

ছবি: আজীম অনন

নগরীর খুলশীতে মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ তিনজন গ্রেফতার  হয়েছে। গত ১২ মার্চ (মঙ্গলবার) এবং ১৩ মার্চ  (বুধবার) নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে তারা গ্রেফতার হন। 

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো রাঙামাটি জেলার লংগদু থানার দক্ষিণ মরিশ্যারচর এলাকার মইয়ুব আলীর ছেলে মো. মুসলিম (২৫), বাঁশখালি  শেখেরখিল সামাদ আলী শিকদার বাড়ির মৃত মোজ্জাফর রহমানের ছেলে মো. সাহাবুদ্দিন (৩৭) এবং কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার বাতাকাশি মধ্যমপাড়া কাজি বাড়ির মোহাম্মদ মনির হোসেনের ছেলে মো. মাসুদ রানা (৩৯) ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রধান আসামীসহ তিন আসামি গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আমেনা বেগম।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, এ ঘটনার পর গত ২৩ জুলাই মৃত মনোয়ারা বেগমের নাতি মুশফিকুর রহমানকে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তিনি মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তবে তিনি ঘটনার সাথে অন্য কেউ যুক্ত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেননি। পুলিশ মৃত মেহেরুন্নেছার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি উদ্ধার করার পর ঘটনার সাথে একাধিক ব্যক্তি যুক্ত থাকার প্রমাণ পান। 

গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. ইলিয়াছ খান অভিযান চালিয়ে গত ১২ মার্চ নগরীর আমাবাগান রেললাইনের পাশ থেকে ঘটনার সাথে জড়িত রাজমিস্ত্রী মুসলিমকে গ্রেফতার করেন। এই আসামিকে গ্রেফতারের পর হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দেন তিনি। 

নিজে যুক্ত থাকার পাশাপাশি হত্যাকান্ডের সাথে আরো ৪জন যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন। এরমধ্যে দুই আসামির সম্পত্তির লোভ, দুই আসামির পূর্ব শত্রুতা এবং এক আসামি নগদ অর্থের জন্য এই হত্যাকান্ড ঘটান বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার দেওয়া তথ্যমতে ১৩ মার্চ অন্য দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার সাথে যুক্ত অন্য আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আসামিদের থেকে মৃত মেহেরুন্নেছার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. ইলিয়াছ খান প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, সম্পত্তি এবং নগদ অর্থের লোভে গত বছরের ১৫ জুলাই নগরীর খুলশী এলাকার আমাবাগানন্থ ফ্লোরাপাস একটি নির্মাণাধীন বাড়ীর সেফটি ট্যাংক থেকে বাড়ীর মালিক মেহেরুননেছা ও তার মা মনোয়ারা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মুশফিকুর রহমানকে প্রধান আসামি করে মোট ৫ জনের নামে খুলশি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মৃত মনোয়ার বেগমের ছেলে মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। এই ঘটনায় একজন ছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

-সিভয়েস/এনএইচ/এমএম

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়