Cvoice24.com


বে-টার্মিনাল: মামলা জটিলতায় অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না ৫শ’ ভূমি মালিক

প্রকাশিত: ১২:০৬, ৫ মার্চ ২০১৯
বে-টার্মিনাল: মামলা জটিলতায় অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না ৫শ’ ভূমি মালিক

ছবি: সিভয়েস

চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের জন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন ৬৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিপূরণ বাবদ জেলা প্রশাসনকে টাকা বুঝিয়ে দিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ জমি বুঝে নিলেও এখন পর্যন্ত অধিগ্রহণের টাকা বুঝে পাননি ৫০০ ভূমি মালিক। অধিগ্রহণকৃত ৬৪ একরের মালিকানা দাবি করে কয়েকজনের করা রিটের কারণেই এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

অধিগ্রহণ করা ওই জায়গায় ফরেস্ট অফিসের রোপণ করা প্রায় একলাখ গাছ রয়েছে দাবি করে বন বিভাগের চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিসার সুলতান উল আলম সিভয়েসকে বলেন, ২০০৫ সালে উপকূলীয় বনায়ন প্রকল্পের আওতায় ওই এলাকায় আমরা প্রায় এক লাখ গাছের চারা রোপন করি। স্থানীয় ১০০ জন এলাকাবাসীকে তখন এই প্রকল্পের উপকারভোগী হিসেবে তালিকাভূক্ত করা হয়েছিল। তারা গত ১৪ বছর ধরে গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে৷ এই গাছগুলোর বিক্রিলব্ধ অর্থের ৬০ শতাংশ তারা পাবে৷ এখন এই জায়গাটি বে-টার্মিনালের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের যে ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন নোটিশ পাইনি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় যোগাযোগ করা হলে প্রথম পর্যায়ে ভূমি অধিগ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা আসিফ ইমতিয়াজ সিভয়েসকে বলেন, অধিগ্রহণের টাকা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম৷ বিএস খতিয়ান মোতাবেক ভূমি মালিকদের চিহ্নিত করে তাদের নোটিশও দেয়া হয়েছিল। পরে অনেকগুলো মামলার বিষয় সামনে চলে আসায় মামলা সূরাহা হওয়া পর্যন্ত টাকা হস্তান্তর স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ফরেস্ট অফিসের অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, এক লাখ গাছের চারা সংখ্যাটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে। আমি জানিনা তারা পুরো ৯০৭ একরের কথা বলছে কিনা। তবে এর মধ্যে যে ৬৮ একর অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেখানে অল্প কিছু গাছ রয়েছে। সব মিলিয়ে ৫০০ এর বেশি গাছ হওয়ার কথা না।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন বলেন, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব না। তবে দ্রুত মামলা নিষ্পতির চেষ্টার করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মোট ৮৬৪ একর জায়গায় বে-টার্মিনাল গড়ে তোলার প্রস্তাব করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তারমধ্যে ৮২০ একর খাস জমির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। অবশ্য ইতোমধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন ৬৪ একর জায়গা অধিগ্রহণ শেষে শুরু হয়েছে কার্যক্রম।

-সিভয়েস/এআরটি/এসএ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়