Cvoice24.com


‘চরম দুর্ভোগ থেকে জেলেদের বাঁচান’

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
‘চরম দুর্ভোগ থেকে জেলেদের বাঁচান’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বোট মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল হক সরকার।

‘ছয়মাস মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকার পর পুনরায় ৬৫ দিন মাছ ধরার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় জেলেদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে, এ দুর্ভোগ থেকে জেলেদের বাঁচান। আবার জেলেরা অন্য কাজ করবে তারও কোন সুযোগ নেই।’

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী ও বোট মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল হক সরকার।

তিনি বলেন, সারাদেশে ৬০ হাজার জেলে মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে, তারমধ্যে চট্টগ্রামে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার জেলে এ মৎস্য আহরণের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু সরকার থেকে ঘোষণাকৃত ১ নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জাটকার জন্য মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয় অর্থাৎ এ সময়ে ইলিশের প্রজনন সময়ে আমরা মাছ ধরা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকি। এরপর শুরু হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ আবার এর মধ্যে প্রতিমাসে কয়েকবার করে সামুদ্রিক বিপদ সংকেত দেখানো হয়। আবার ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত যান্ত্রিক নৌযান দ্বারা পূর্ব নির্ধারিত নিয়মানুসারে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ অব্যাহত রাখার জন্যও নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। এতে মাছ আহরণ করতে না পারার কারণে কষ্টে পড়ে যান হাজার হাজার জেলে। 

তিনি আরও বলেন, সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরার জন্য যে জাল (ভাসান জাল) দেয়া হয়েছে সেটাতে নির্দিষ্ট সাইজ ব্যতিত অন্যকোন মাছ ধরা পড়ে না। সরকারি হিসেবে ১০ হাজার মৎস্য আহরণকারীকে ভাসান জাল দেয়া হলেও এর প্রকৃত সংখ্যা ৬০ হাজারের অধিক। তাদেরকেও যদি সরকারি আওতায় নিয়ে আসা হয় তাহলে সরকার এবং ভাসান জাল ব্যবহারকারী উভয়েই সার্বিকভাবে উপকৃত হবে।

কর্ণফুলী নদীর পাড়ের উচ্ছেদের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৫ বছরের জন্য ফিশারি ঘাটের ইজারা নিয়েছি। যাতে জেলেরা একটা বাজারের মাধ্যমে মৎস্য বিক্রয় করতে পারে। কোন ঘাট বা বাজার না থাকলে জেলেরা কোথায় থামবে সে চিন্তা করে সরকার এটি উচ্ছেদ করবেন না। কারণ এ ঘাটটিও সরকার থেকে নেয়া। 

সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য আহরণকারী ও বোট মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন-

সিভয়েস/এমআইএম/এসএইচ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়