Cvoice24.com

অভিযুক্ত আসামির স্বীকারোক্তি
টাকার লোভে ভাবিকে খুন

প্রকাশিত: ০৮:৩৩, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
টাকার লোভে ভাবিকে খুন

পুলিশের সাথে আসামি মো. ফরহাদ হোসেন লিমন। ছবি : আজিম অনন

টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারের জন্য দেবরের হাতে খুন হয়েছেন ভাবি। সম্প্রতি নগরীর আকবর শাহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আসামির স্বীকারোক্তি এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত উপকরণ উদ্ধারের পর হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য জানায় পুলিশ।

আজ (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নগরীর আকবরশ থানাধীন কালিহাট এলাকার ইদ্রিস সওদাগরের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে দীর্ঘদিন বসবাস করছেন হাসিনা বেগম (৩২)। তিনি একজন গার্মেন্টস কর্মী। তার স্বামী সৌদি প্রবাসী এবং একমাত্র ছেলে আবির হোসেন (১২) নেছারিয়া মাদ্রাসার হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করছে।

একই বিল্ডিংয়ে ব্যাচেলর হিসেবে বসবাস করতো তার দেবর মো. ফরহাদ হোসেন লিমন (২২)। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হাসিনার বেগমের কক্ষ থেকে তার মৃতদেশ উদ্ধার করা করার পর নিহতের ভাই মো. মানিক বাদী হয়ে আকবরশাহ থানায় একটি এজহার দায়ের করেন। সেখানে তিনি বোনের দেবর ফরহাদ হোসেন লিমনকে হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করেন। এজহার দায়েরের পর পুলিশ গত ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামি ফরহাদ হোসেন সে রাতে ভাবিকে খুন করার চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। ৭ ফেব্রুয়ারি গার্মেন্টস থেকে বাসায় ফিরে তার বসতঘরের পাশে রান্নাঘরে খাওয়ার পানি গরম করতে যায়। এই অবস্থায় হাসিনা বেগমের দেবর ফরহাদ হোসেন লিমন টিভি দেখার কথা বলে তার ঘরে আসে। পানি গরম করে হাসিনা বেগম নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়লে তার দেবর ঘুমন্ত অবস্থায় দুই হাত দিয়ে গলা চেপে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। হত্যা করার পর তার শরীরে পরিহিত স্বর্ণালংকার, মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করে সে জানায়, তার ভাবি হাসিনা বেগমের কাছে প্রায় সময় টাকা পয়সা চাইলে ভাবি তাকে কোন আর্থিক সহায়তা করতো না। আর্থিক সহায়তা না পাওয়ায় তার মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করে। সেজন্য টিভি দেখার নাম করে মনেমনে মূলত ভাবিকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে। পুলিশ আসামির দেওয়া তথ্যমতে ১ জোড়া বড় স্বর্ণের দুল, ২ জোড়া ছোট স্বর্ণের কানের দুল, ১টি স্বর্ণের নাকের নথ, স্বর্ণের বেসলেট ১টি, ১ জোড়া ছেঁড়া স্বর্ণের চেইন, ১ টি স্বর্ণের লকেট, ১ জোড়া রূপার পায়ের নুপুর উদ্ধার করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সহকারী পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম (অপরাধ শাখা)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আকবর শাহ থানা ওসি জসিম উদ্দিন।

সিভয়েস/এনএইচ/এএইচ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়