চট্টগ্রামে ফিলিপাইন ভিসা প্রক্রিয়া চালু
ছবি: আজীম অনন
চট্টগ্রামবাসীর সুবিধার জন্যই বন্দরনগরী চট্টগ্রামে চালু হয়েছে ফিলিপাইন ভিসা সেন্টার। প্রতিবছর দুই থেকে তিন হাজার বাংলাদেশি ফিলিপাইন ভ্রমণে যায়। ফিলিপাইন ভ্রমণের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। চট্টগ্রাম থেকেও অনেকে ফিলিপাইন ভিসার জন্য আবেদন করেন। এ ভ্রমণ প্রক্রিয়া চলমান রাখতেই চট্টগ্রামে ফিলিপাইন ভিসা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নগরীর হোটেল আগ্রাবাদে ফিলিপাইন ভিসা সেন্টারের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভিসেন্তে ভিভেনসিও টি বানদিল্লো, ফিলিপাইন দূতাবাসের ভিসা কর্মকর্তা বার্লিন এ তলোসা।
ফিলিপাইন ভিসা সেন্টারটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার পাম ভিউ ভবনের দ্বিতীয় তলায়।
নগরীর ফিলিপাইন ভিসা সেন্টারের প্রধান কর্মকর্তা শেখ হাবিবুর রহমান (হাবীব) বলেন, চট্টগ্রামবাসীর সুবিধার কথা চিন্তা করেই এ ভিসা সেন্টার চালু করা হয়েছে। দিন দিন তো ফিলিপাইন ভ্রমণকারী বাড়ছে। আর এ ভিসার জন্য আবেদন করতে চট্টগ্রামের অনেক মানুষ ঢাকায় গিয়ে নিজেদের মূল্যবান সময় ব্যয় করছে। অন্তত চট্টগ্রামবাসীর মূল্যবান সময়টুকু বাঁচবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এ ভিসার কার্যক্রম গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হয়েছে। উদ্বোধন মুহূর্তেই ফিলিপাইন ভ্রমণকারী তিনজনের ভিসা কার্যক্রমের আবেদন নিশ্চিত করেছি। তারা তিনজনই একক এন্ট্রি তিন মাসের জন্য তিন হাজার সাতশত টাকা পরিশোধ করেছে।
ভ্রমণে যা লাগবে :
ফিলিপাইন ভিসা ফর্মের জন্য আবেদন, আর্থিক ক্ষমতা প্রুফ। যেমন: সম্পদ/মালিকানা, ট্যাক্স পেমেন্ট প্রমাণপত্র, ভিসা আবেদনকারীর ব্যাংক বিবৃতি বা চিঠি/স্পন্সর দ্বারা আর্থিক সহায়তা প্রমাণ, রাউন্ড ট্রিপ এয়ারলাইন টিকেট, স্পন্সর থেকে হোটেলের আবাসন/আমন্ত্রণপত্র নিশ্চিত করা (ফিলিপাইনের ঠিকানা সম্বোধন) এবং স্পন্সর এর পাসপোর্ট কপি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স *, ভ্রমণের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা।
ব্যবসায়ীদের জন্য: বাণিজ্য লাইসেন্স।
কর্মচারীদের জন্য: কর্মসংস্থান এবং কর্মীদের কর প্রশংসাপত্র/টিআইএন সার্টিফিকেট।
ফিলিপাইনে ছয় মাস (৬) মাস পরে পাসপোর্ট বৈধ নয়, “২*২” রঙিন দু’কপি সাম্প্রতিক ছবি।
ভিসা ফি:
একক এন্ট্রি তিন (৩) মাসের জন্য তিন হাজার সাতশত টাকা। একাধিক এন্ট্রি ছয় (৬) মাসের জন্য ছয় হাজার আটশত টাকা। একাধিক এন্ট্রি এক (১) বছরের জন্য দশ হাজার দুইশত টাকা।
বিশেষ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রয়োজনীয়তা:
ক্ষুদ্র আবেদনকারীদের জন্য:
• জন্ম সনদ,
• পিতামাতার বিবাহ সার্টিফিকেট এবং পিতামাতার পাসপোর্ট কপি
একটি ফিলিপিনো বিবাহিত আবেদনকারীদের জন্য:
• স্বামী থেকে আমন্ত্রণ চিঠি এবং পত্নী’র পাসপোর্ট কপি।
ব্যবসার উদ্দেশ্যে:
ফিলিপাইন ভিসা ফর্মের জন্য সম্পন্ন আবেদন, ফিলিপাইনের আমন্ত্রণ ফিলিপাইন দূতাবাসে এবং আবেদনকারীকে সম্বোধন, ফিলিপাইন ভ্রমণের উদ্দেশ্যসহ কোম্পানির চিঠি, আবেদনকারী এবং পৃষ্ঠপোষক ব্যবসার নিবন্ধন, ভিসার আবেদনকারীর ব্যাংক বিবৃতি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স *, আর্থিক ক্ষমতা প্রুফ। যেমন: সম্পদ/মালিকানা, ট্যাক্স পেমেন্ট প্রমাণপত্র, ফিলিপাইনে ছয় মাস (৬) মাস পরে পাসপোর্ট বৈধ নয়, রাউন্ড ট্রিপ এয়ারলাইন টিকেট/বুকিং “২*২” রঙিন দু’কপি সাম্প্রতিক ছবি।
ভিসা ফি:
একক এন্ট্রি তিন (৩) মাসের জন্য তিন হাজার সাতশত টাকা। একাধিক এন্ট্রি ছয় (৬) মাসের জন্য ছয় হাজার আটশত টাকা। একাধিক এন্ট্রি এক (১) বছরের জন্য দশ হাজার দুইশত টাকা।
মিটিং/সেমিনার এবং পড়ালেখার সুবিধার্থে প্রাথমিক পাসপোর্টারদের জন্য ফিলিপাইন ট্যুর:
ফিলিপাইন ভিসা ফর্মের সম্পন্ন আবেদন, ফিলিপাইনের আমন্ত্রণ ফিলিপাইন দূতাবাসে এবং আবেদনকারীকে সম্বোধন, নিয়োগকর্তা থেকে চিঠি, ভিসা আবেদনকারীর ব্যাংক বিবৃতি, আর্থিক ক্ষমতা প্রুফ যেমন। সম্পদ / মালিকানা, ট্যাক্স পেমেন্ট প্রমাণ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স *, আমন্ত্রণ সংগঠনের অনুমোদিত নিবন্ধন, ফিলিপাইনে ছয় মাস (৬) মাস পরে পাসপোর্ট বৈধ নয়, রাউন্ড ট্রিপ এয়ারলাইন টিকেট / বুকিং, “২*২” রঙিন দু’কপি সাম্প্রতিক ছবি।
ভিসা ফি:
একক এন্ট্রি তিন (৩) মাসের জন্য তিন হাজার সাতশত টাকা। একাধিক এন্ট্রি ছয় (৬) মাসের জন্য ছয় হাজার আটশত টাকা। একাধিক এন্ট্রি এক (১) বছরের জন্য দশ হাজার দুইশত টাকা।
নাবিকের জন্য:
মাননীয় সংস্থা থেকে দূতাবাসে পাঠানো চিঠি, সায়মনের বইয়ের ফটোকপি, ফিলিপাইনে ছয় মাস (৬) মাস পরে পাসপোর্ট বৈধ নয়, “২*২” রঙিন দু’কপি সাম্প্রতিক ছবি।
ভিসা ফি: এক হাজার সাতশত টাকা।
ভিসা প্রসেসিং সময়:
• ভিসার আবেদন শুধুমাত্র সকাল (১০.০০ টা-দুপুর ১২.০০ টা পর্যন্ত)।
• ভিসার রিলিজের সময়সূচী (বিকেল ৩.০০ টা-বিকেল ৪.০০ টা পর্যন্ত)।
• ভিসা জারি হওয়ার জন্য দশ থেকে পনের (১০-১৫) দিন সময় লাগে।
-সিভয়েস/এসএ
মিনহাজ মুহি