Cvoice24.com


চন্দনাইশে আ.লীগের মনোনয়ন চান ১৯ নেতা

প্রকাশিত: ১২:৩৩, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
চন্দনাইশে আ.লীগের মনোনয়ন চান ১৯ নেতা

ছবি: সিভয়েস

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় চন্দনাইশ উপজেলায় সরকারী দল আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হলেও নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় স্থানীয় সরকার পর্যায়ের এই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার চন্দনাইশ উপজেলায় সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যা অন্যবারের চেয়ে অনেক বেশি। এ পর্যন্ত ১৯ জন নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর লবিং শুরু করেছেন।

এদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী অন্যতম। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এলডিপির হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী ২০১৬ সালে বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এছাড়াও রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কাশেম, দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সহসভাপতি বরকল ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবর আলী ইনু, আইন বিষয়ক সম্পাদক শিহাব উদ্দীন রতন, প্রচার সম্পাদক হেলাল উদ্দীন চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক এসএম নুরুল হক, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. এসএম সিরাজুদৌলাহ, উপজেলা আ’লীগ সদস্য ফেরদৌস খান, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী জসিম, শওকত হোসেন ফিরোজ, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি একেএম নাজিম উদ্দীন, কাঞ্চনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, গাছবাড়িয়া সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি শেখ টিপু চৌধুরী, বরমা ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কাজেমী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।

এদের মধ্যে প্রত্যেকেই দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। আ’লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক মাতামাতি লক্ষ্য করা গেলেও বিএনপিতে নেই কোন তৎপরতা। উপজেলায় দলটির সাংগঠনিক তৎপরতাও এক প্রকার থেমে গেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করায় উপজেলা নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হতে আগ্রহীদের তালিকা দীর্ঘ বলে মনে করেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। ফলে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিযোগিতাও তৈরি হয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজেদের অবস্থান সংহত করতে নবনির্বাচিত এমপি’র সাথেও যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করছেন। দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের বেলায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের মতামতকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বিধায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে টানার নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সম্ভাব্য এসব প্রার্থীরা।

-সিভয়েস/এস

মুহাম্মদ এরশাদ, চন্দনাইশ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়