Cvoice24.com

চট্টগ্রামে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

সময় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড


চট্টগ্রামে এই প্রথম “ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ”

প্রকাশিত: ১৩:০২, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮
চট্টগ্রামে এই প্রথম “ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ”

ছবি : সিভয়েস

প্রথমবারের মত চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তরুণ প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণে ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ-২০১৮। প্রতিযোগীতায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ প্রতিযোগীরা নিজেদের উদ্ভাবিত সামাজিক কার্যক্রমের সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। ই্উএনডিপি বাংলাদেশ,ফেসবুক,স্টার্ট আপ বাংলাদেশ ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের একদল বিচারকের পরীক্ষা-পর্যবেক্ষণে প্রতিযোগীতায় বিচার কাজ সম্পন্ন হয়। 

প্রতিযোগীতায় ‘তাউ জিং ডং’, ‘দ্য সেভিয়ার’, ‘স্বাধীন’,‘আর ইউ সিরিয়াস’,‘সার্জ ফাউন্ডেশন’,‘টিম ইনটেজিস’,‘গ্রেভিটি’এবং ‘কর্ম’ নামে ৮টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগীতায় ‘আর ইউ সিরিয়াস’ দলটি সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এই চ্যালেঞ্জে ‘ স্বাধীন’ এবং ‘সার্জ ফাউন্ডেশন’ রানার্স আপ হয়। প্রতিযোগীতায় প্রত্যেক দল নিজেদের উদ্ভাবিত সেবা কার্যক্রম ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করে। 

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রতিযোগীতার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

বক্তব্যে মেয়র বলেন, ‘ডেলয়েট’ পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে যে, ২০১৫ সালে ভারত শুধু ফেসবুক ব্যবহার করে প্রতিবছর ৪ বিলিয়ন ডলার আয় করে থাকে। কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশে অনলাইন প্রযুক্তির ব্যবহারের চেয়ে অপব্যবহারই বেশি হচ্ছে। বাংলাদেশে ফেসবুক প্রযুক্তি আয়ের চেয়ে এখনো বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার প্রসারেই ব্যবহৃত হচ্ছে। চট্টগ্রামে দিনে ১৪টি সংসার ভাঙ্গছে। যা ঢাকায় দিনে ২৪টি। ডিজিটাল প্রযুক্তি সেবা সুবিধা নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু চক্র তাদের মত প্রচার করে তরুণদের বিভ্রান্ত করছে। এদেরকে মোকাবেলা করতে হবে ডিজিটাল পন্থায়। 

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল প্র্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। আমাদের অনেক কর্মঘণ্টা বাঁচিয়েছে। আমাদের আর্থিক সাশ্রয় করছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অনলাইন পেমেন্ট সেবা ‘ভিসার’-এর গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ঢাকাসহ বিশ্বের একশটি বড় শহরে ডিজিটাল লেনদেন বাড়লে প্রায় ৪৭ হাজার কোটি ডলার সঞ্চয় করা সম্ভব। 

আ জ ম নাছির বলেন, ওই গবেষণায় আরো দেখা যায়, এই একশটি শহরে শুধু আর্থিক লেনদেন করা হলে প্রায় ৩২০ কোটি কর্মঘন্টা বাঁচানো সম্ভব। বাংলাদেশ ব্যাংকারদের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বিআইবিএম-এর গবেষণা প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে যে, আইসিটি সম্পন্ন একজন কর্মীর পেছনে এক টাকা খরচ করলে ব্যাংকের আয় হবে ২৫ টাকা। যা সাধারণ একজন কর্মীর ক্ষেত্রে ৬ টাকা। অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, তথ্য প্রযুক্তির বিস্তারের সাথে সাথে মানুষের কর্মসংস্থানও বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসে ২ লক্ষ ২৮ হাজার নতুন চাকরি যুক্ত হয়েছে। আমাদের দেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞান বাড়াতে হবে। 

প্রসঙ্গত আরো বলা হয়েছে যে, এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী তরুণ প্রতিযোগীরা উগ্রপন্থা মোকাবেলা এবং সামাজিক সেবা কার্যক্রমে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে নিজেদর উদ্ভাবনী দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। এটা আমাকে অত্যন্ত আশাবাদী করেছে। এই প্রতিযোগীতার আয়োজকদেরকে আমি বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। 

প্রতিযোগীতায় আইসিটি মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা মিস টিনা, চসিক প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, নগর পরিকল্পনাবিদ রেজাউল করিম চৌধুরীসহ বিভিন্ন প্রমুখ।

-সিভয়েস/ইউডি/এসএ/এমইউ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়