Cvoice24.com


এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর আভাস

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ৭ জুন ২০২০
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর আভাস

ফাইল ছবি

লকডাউনের শুরু থেকে প্রায় পৌনে তিন মাস বন্ধ রয়েছে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রায় তিন মাস পর সীমিত পরিসরে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা আসলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা আসেনি। 

ইতোমধ্যে সরকার এসএসসি ও সমমানের ফলাফল ঘোষণা করলেও  চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা পিছিয়ে গেছে। একই সাথে অনিশ্চিতের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি পাবলিক পরীক্ষাও এবং আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে নেয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে।

করোনা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে শিক্ষার সময়সূচি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আরও দুই মাসেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচলের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে পাঁচ থেকে ছয় মাস বন্ধ থাকতে পারে শ্রেণি কার্যক্রম। এমন পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া নিয়ে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান ছুটিতে ইতোমধ্যে দশম শ্রেণির প্রি-টেস্ট পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। অক্টোবরে নির্ধারিত আছে টেস্ট পরীক্ষা। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এখন পর্যন্ত দ্বাদশ শ্রেণিতে উন্নীত করা যায়নি। অথচ এরা আগামি বছরে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। ফলে আগামি বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বেলায় সবচেয়ে বেশি জটিলতা তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া নভেম্বরে নির্ধারিত পিইসি পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়াও বন্ধ আছে। এটিও পিছিয়ে ডিসেম্বরে নেয়ার চিন্তা চলছে।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক বড় বড় পরীক্ষা পিছিয়ে নিতে হবে। অষ্টম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষা প্রয়োজনীয় সিলেবাস শেষ করে প্রয়োজনে নভেম্বরের পরিবর্তে ডিসেম্বরে পরীক্ষা নিতে হবে।

এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ১৫ দিন পর চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। আর আগামি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও পেছানোর চিন্তাভাবনা চলছে। ফেরুয়ারিতে এসএসসি ও এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হবে না। তাছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আগামী বছর পরীক্ষায় অংশ নিতে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপরের ক্লাসে উন্নীত করা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দেশে মূল্যায়নের একমাত্র পথই হলো পরীক্ষা। তাই এটা বাতিলের সুযোগ কম। তবে যে পথেই আমরা যাই না কেন, ঐচ্ছিক ছুটিতে একটা সমন্বয় করতে হবে। আর ক্ষতি পোষাতে কমপক্ষে দুই-তিন বছরের পরিকল্পনা নিতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বিভাগের দুটি সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে শিক্ষাবর্ষ দুমাস বাড়িয়ে সিলেবাস শেষ করে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলতি বছরের পাঠ্যবইয়ের ওপর পাঠদান করতে বলা হয়েছে।

-সিভয়েস/এসসি

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়