Cvoice24.com

চট্টগ্রামে আজ, মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪

সময় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড


ডা. ফয়সালের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ বিএমএ'র

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ৬ জুন ২০২০
ডা. ফয়সালের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ বিএমএ'র

চট্টগ্রামের একটি অনলাইন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরীকে ঘিরে নানা অপপ্রচারের নিন্দা জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ’র নেতৃবৃন্দ।

শনিবার রাতে গণমাধ্যমে বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার যুগ্ম সম্পাদক ডা. মো. রবিউল করিম স্বাক্ষরিত এক বার্তায় তারা এ প্রতিবাদ জানান।

তারা বলেন, ‘চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত ও তদারকি করতে বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক গঠিত সাত সদস্যের সার্ভিলেন্স টিমে অনাগ্রহ স্বত্ত্বেও বিভাগীয় কমিশনার,বিএমএ সভাপতি, সিভিল সার্জন ও মাননীয় মেয়র মহোদয়ের অনুরোধে ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী থাকতে প্রাথমিকভাবে সম্মত হন। কিন্তু পরবর্তীতে শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি কোভিড-১৯ রোগনির্ণয় পরীক্ষার জন্যে স্যাম্পল প্রদান করেন এবং কমিটিতে থাকতে অপারগতা জানিয়ে চিঠি প্রদান করেন। তাঁর শারীরিক অসুস্থতাকে আমলে নিয়ে কমিটিতে বর্তমান চট্টগ্রাম বিএমএ'র সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খানকে ডা. ফয়সাল ইকবালের স্থলাভিষিক্ত করা হয়। 

বিভিন্ন ভুঁইফোড় অনলাইন মিডিয়াতে কুচক্রী মহলের ইন্ধনে ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীকে এই টিম থেকে জোরপূর্বক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়, যা সাধারণ চিকিৎসক সমাজের অনুভূতিতে জোর আঘাত হেনেছে। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম শাখার পক্ষ থেকে আমরা এধরনের সর্বৈব মিথ্যা সংবাদ ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ - জানান তারা।

করোনাকালে ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরীর বিভিন্ন ভূমিকা উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘বর্তমান মহামারীর শুরু থেকেই চট্টগ্রাম শহরের আনাচে কানাচে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় রাতদিন দৌড়িয়ে বেড়িয়েছে বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী। নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ৫০০০ পিপিই, অসংখ্য মাস্ক, গ্লাভস ও অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী তিঁনি সংগ্রহ করে চিকিৎসকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন। 

তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৪টি ভেন্টিলেটর, ৮টি হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবান চিকিৎসা উপকরণ ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে সংগ্রহ করে দিয়েছেন যার বাজার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।

চসিকের মাননীয় মেয়র জনাব আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের সাথে একত্রিত হয়ে ডা. ফয়সাল ইকবাল নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে নগরব্যাপী স্যাম্পল সংগ্রহের বুথ, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল সহ একাধিক কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল স্থাপনে ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর দিনরাত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসার অচলাবস্থার খানিকটা হলেও উন্নয়ন ঘটেছে। এমতাবস্থায় তাঁর নামে করোনা চিকিৎসাকে বাধাগ্রস্ত করার হাস্যকর অভিযোগ কেবল তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তা ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার হীন প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

তারা আরো বলেন, ‘ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী সর্বশেষ বিএমএ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করে চিকিৎসক সমাজের আস্থার স্থানে অধিষ্ঠিত হন। তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তার প্রতিফলন ঘটেছিল চট্টগ্রামের চিকিৎসক সমাজের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ঐ নির্বাচনের ফলাফলে। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থেকে প্রায় ১৪০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন, যা চট্টগ্রামের আপামর জনসাধারণ ও মিডিয়ার অবগত।  কিন্তু প্রতিবেদনে 'প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রের মুখে ব্যালট বাক্স ছিনতাই' করার হাস্যকর অভিযোগ  আনা হয়। 

চিকিৎসক সমাজ কর্তৃক উক্ত নির্বাচনে পরিত্যাজ্য হওয়া একদল স্বার্থান্বেষী চিকিৎসক মহলের ইন্ধনে বিভিন্ন কুচক্রী মহল ডা. ফয়সালের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এহেন বিভিন্ন মিথ্যাচার করে তাঁর নিরঙ্কুশ বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।’

বর্তমানে জাতি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। চিকিৎসকরা নিজেদের পরিবার ও নিজের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে তাদের যথাসাধ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অবকাঠামোগত দুর্বলতা, প্রশাসনিক অদক্ষতা ও সমন্বয়ের অভাবে সাধারণ মানুষ কাঙ্খিত সেবা পেতে অনেক জায়গায় ব্যর্থ হচ্ছেন- তা অস্বীকার করার উপায় নাই। 

এমতাবস্থায় আমাদের সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে একত্রিত হয়ে এই মহামারী মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়া দরকার। তা না করে কারো জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নিজ হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে চিকিৎসক সমাজের আস্থার জায়গাকে কলংকিত করার প্রচেষ্টা কেউ করলে তাকে চট্টগ্রামের চিকিৎসক সমাজ নিঃসন্দেহে পূর্বের মতই পরিত্যাগ করবেন।

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়