Cvoice24.com


করোনা চিকিৎসার দ্বার খুললো মা ও শিশু হাসপাতাল

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ৬ জুন ২০২০
করোনা চিকিৎসার দ্বার খুললো মা ও শিশু হাসপাতাল

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে আজ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা। হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনে ১০টি ভেন্টিলেটরযুক্ত আইসিইউ ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধাসহ ১০০ বেড নিয়ে এই চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে হাসপাতালটি।

শনিবার (৬ জুন) বেলা ১২টায় টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে হাসপাতালটিতে করোনা ইউনিট উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।

এ সময় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন টেলি-কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

সরকারের সহযোগিতা পেলে নবনির্মিত ১৪ তলা ভবনটির পুরোটাই করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে ২০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডসহ প্রায় ৪০০ রোগীর সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ডা. নুরুল হক।

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা আক্রান্তসহ করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের চিকিৎসায় ভেন্টিলেটরযুক্ত আইসিইউ স্থাপন করা হয়েছে ১০টি। আপাতত ১০টি আইসিউ ও ৫০টি শয্যা দিয়ে করোনা ইউনিট শুরু করছি। এরমধ্যে আইসোলেশনের জন্যও প্রস্তুত করা হয়েছে ২০টি শয্যা। পাশাপাশি স্থাপন করা হয়েছে ৩০ শয্যার ফ্লু কর্নার। তবে এটি ১০০ শয্যাতে উন্নীত করার কাজ চলছে। একই সাথে করোনা রোগী আনা-নেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক দুইটি অ্যাম্বুলেন্স।'

অলাভজনক এ হাসপাতালটি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের অনুদানে পরিচালিত হয়ে আসছে। আমরা মনে করি- এ সময়ে আমাদের যে সক্ষমতা রয়েছে তা দিয়ে করোনা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারব। প্রয়োজন হলে ২০টি ভেন্টিলেটরের পাশাপাশি পুরো আইসিইউ ইউনিট আমরা করোনা রোগীদের জন্য ব্যবহার করতে পারব। যাতে এককভাবে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগীর সেবা দেওয়া সম্ভব হয়। যোগ করেন হাসপাতালটির পরিচালক ডা. নুরুল হক। 

তিনি আরো বলেন, ‘গত এপ্রিলের মাঝামাঝিতে প্রাথমিকভাবে প্রায় এক কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদন হয়েছে। ইতোমধ্যে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্রস্তুত ও ভেন্টিলেটর স্থানান্তরসহ ১০০ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থকর্মীদের কোয়ারেন্টিন সুবিধার জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।'

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৫০ শয্যার ১৪ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের কাজ সম্প্রতি শেষ করেছে শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুরাতন ভবন থেকে সম্প্রতি নতুন এ ভবনে হাসপাতাল স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস প্রকোপের এ সময়ে হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটি এখানে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়া হয়।

আরো জানা যায়, এ হাসপাতাল থেকেই করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে পাঠানো হবে। কেউ আক্রান্ত হলে সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি অন্য হাসপাতাল থেকেও এ হাসপাতালে স্থানান্তর করা যাবে। এছাড়া সাধারণ ফ্লু'তে আক্রান্ত রোগীদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ওয়ার্ডটি বর্তমান হাসপাতাল ভবন থেকে সম্পূর্ণ পৃথক রাখা হয়েছে বিধায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম।

সিভয়েস/এসজেবি/এসসি
 

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়