Cvoice24.com


গণপরিবহনে নিজেকে নিরাপদ রাখবেন যেভাবে

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৬ জুন ২০২০
গণপরিবহনে নিজেকে নিরাপদ রাখবেন যেভাবে

ছবি: সিভয়েস

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে জনসমাগম এড়িয়ে চলার কথা বারবার বলছে জনস্বাস্থ্যবিদেরা। বাংলাদেশে প্রতিদিনই বাড়ছে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই এসময় গণপরিবহন ব্যবহার না করাই ভাল। যারা জরুরি প্রয়োজনে গণপরিবহন ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছেন তারা ব্যক্তিগত সতর্কতা হিসেবে অনুসরণ করতে পারেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঁচটি পরামর্শ। 

১. দূরত্ব বজায় রাখা: বাস, ট্রেন বা লঞ্চের মতো জনবহুল জায়গায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি সবচেয়ে জরুরি। বিশেষজ্ঞরা ৬ ফুট দূরত্বের কথা বল্লেও বাংলাদেশের বাস্তবতায় নূন্যতম ৩ ফুট বা ১মিটার দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।

টিকেট কাউন্টার, ট্রেন বা বাস স্টেশনে অপেক্ষা করার সময়, যানবাহনে ওঠা বা নামার সময় কমপক্ষে ৩ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। যানবাহনে বসার ক্ষেত্রেও চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখতে। কোনভাবেই গাদাগাদি বা ঠেলাঠেলি করা যাবেনা।

২. স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা: যানবাহনের হ্যান্ডেল, হাতল, সিটের যেকোন অংশ হাত দিয়ে স্পর্শ করা সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন। কোন কিছু স্পর্শ না করে বাহনে ওঠা বা নামা যেহেতু অসম্ভব ব্যাপার তাই সম্ভব হলে হাতে গ্লাভস পড়ে নিন। 

যানবাহনের কোন অংশ স্পর্শ করার পর ভুলেও চোখ, নাক ও মুখে হাত দেবেন না। ভ্রমণের সময় কিছু না খাওয়াই ভালো। কারণ এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু স্পর্শ করতে হবে, মুখের মাস্ক খুলতে হবে তাই যাত্রাপথে খাদ্য গ্রহণ না করার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।

লেনদেনের ক্ষেত্রে টাকা হাতে ধরার বদলে কাগজের খাম বা আলাদা ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। যতবার টাকা ধরবেন ততবার সাবান বা জীবাণুনাশক দিয়ে সঠিক নিয়মে হাত জীবাণুমুক্ত করতে ভুলবেন না।

৩. হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার: গণপরিবহনে বা জনসমাগমে সবসময়ই হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় নাক টিস্যু বা কাপড়ে ঢেকে নিন। ব্যবহৃত টিস্যু অবশ্যই যেখানে সেখানে না ফেলে গণপরিবহন থেকে নামার পরে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার স্থানে ফেলে দেবেন। টিস্যু বা রুমাল না থাকলে কুনুই দিয়ে নাক ঢেকে নিন।

৪. পর্যাপ্ত বায়ুপ্রবাহ: এসময় সবধরনের যানবাহনে যথেষ্ট অক্সিজেন পাবার ব্যবস্থা থাকা জরুরি। গণপরিবহনে যতটা সম্ভব বাতাসের প্রবাহ বাড়ানোর কথা বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাই সম্ভব হলে যানবাহনের জানালা খুলে রাখুন। বাতাস চলাচল যাতে স্বাভাবিক থাকে তা নিশ্চিত করুন।

৫. পরিচ্ছন্নতা: গণপরিবহনে ওঠার আগে বা পরে পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি বিশেষভাবে খেয়াল করুন। বাসায় বা কোন ভবনে ঢুকার আগে পরনের জুতার তলা ব্লিচিং পাউডারে ভেজানো কাপড়ে মুছে নিতে পারেন। অথবা বাড়ির দরজার বাইরে রেখে দিন। সঙ্গের ব্যাগ মেঝেতে রাখাই ভালো। এসময় এমন ব্যাগ ব্যবহার করুন যেটি সহজেই গরম পানি বা সাবান দিয়ে ধোয়া যায়।

বাড়িতে ঢুকেই ব্যবহৃত চশমা, কাপড়ের সেফটিপিন বা এধরনের জিনিস গরম পানি কিংবা সাবানযুক্ত পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে জীবাণুমুক্ত করুন।

এ সতর্কতাগুলো তখনই প্রযোজ্য হবে যখন আপনি পুরোপুরি সুস্থ। অসুস্থ অবস্থায় কোনভাবেই গণপরিবহনে ওঠা যাবেনা। আর ভুলবেন না আরেকটি জরুরি বিষয় যাত্রাপথের পুরো সময়জুড়ে আপনাকে মাস্ক পড়তে হবে। এটি আপনার ড্রপলেড থেকে অন্য যাত্রীদের যেমন সুরক্ষিত রাখবে তেমনি অন্য যাত্রীদের ড্রপলেড থেকে আপনাকেও সুরক্ষিত রাখবে। তাই বাইরে যাতায়াতের সময় অবশ্যই সার্জিক্যাল বা কাপড়ের মাস্ক যাই হোক সঠিক নিয়মে পরিস্কার মাস্ক পড়তে হবে।

তথ্যসূত্র: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা।

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়