Cvoice24.com


ওয়েডিং ফটোগ্রাফিতে করোনার ছায়া

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ৬ জুন ২০২০
ওয়েডিং ফটোগ্রাফিতে করোনার ছায়া

ছবি: সংগৃহিত

করোনা স্থবির করেছে প্রতিটি পেশার মানুষকে। বাদ পড়েনি ওয়েডিং ফটোগ্রাফিও। যারা ছবি তুলে বিয়ের নব দম্পতিকে দিতো।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বন্দরনগরীসহ সারাদেশে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ।  সরকারের নির্দেশে গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে সামাজিক অনুষ্ঠান (বিয়ে) হচ্ছে না। ফলে বন্দরনগরীর ছোটবড়  প্রায় দুই থেকে তিন হাজার ছবিয়াল পড়েছে চরম ভবিষ্যৎ সংকটে।

করোনাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংবাদকর্মীরা পর্যন্ত এর ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি। আলোকচিত্রী শিল্পীরা ছবি তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। আবার কেউ কেউ সংস্পর্শে এসে।    

নভেম্বর ব্লু চীফ ফটোগ্রাফার এবং কর্নধার জুবায়ের ইসদানি সাদ সিভয়েস কে বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে স্থবিরতা এসেছে ফটোগ্রাফি শিল্পে। আগে প্রতিমাসে ৩-টা ৪টা বিয়েতে ফটোগ্রাফি করা হতো। আমাদের সাথে আরও সহকারি ফটোগ্রাফার ও ভিডিওগ্রাফার কাজ করে। এই করোনাকালীন সময়ে সবকিছু বন্ধ। সে সাথে বন্ধ হয়েছে রোজগারের চাকা। আমাদের মতো অনেকেই ফটোগ্রাফি কে প্রফেসন হিসেবে নিয়েছে আজ তারা সবাই ঘরে বন্দী।  কোথাও কোন সামাজিক অনুষ্ঠান হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে ফটোগ্রাফি শিল্প বিলীন হয়ে যাবে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় না। আমরা নিজেদের একক উদ্যোগে এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে মুখ থুবড়ে পড়বে ফটোগ্রাফি শিল্প।
রয়েল ভেইল কর্ণধার আরেফিন হৃদয় সিভয়েসকে জানান, বিয়ে মানেই ছবি তোলার হিড়িক। ছয় বছর ধরে ফটোগ্রাফি করে সংসার চালাই। আমার ৫/৬ লাখ টাকার ইনভেস্টমেন্ট। মনে হচ্ছে করোনায় সবই কেড়ে নিল। সব কিছু সীমিত পরিসরে চালু করলেও বিয়ের অনুষ্ঠানের বিষয়টি এখনো পরিস্কার নয়। 

তথ্যমতে, বন্দরনগরীতে প্রোফেশনাল ওয়েডিং ফোটোগ্রাফারের সংখ্যা ১ হাজার থেকে দেড় হাজারের  মতো। তাছাড়া পার্টটাইম আছে আরো এক হাজার। আবার এদের সাথে থাকে লাইট ম্যান, ভিডিও গ্রাফার, এডিটিং ম্যান। এদের সংখ্যাও  দুই হাজারের কম নয়। তারমধ্যে অনেকেই বিয়ের ছবি তোলাকে প্রোফেশন হিসেবে নিয়েই এতো দিন জীবন যাপন করে আসছিল। কিন্তু করোনার এই মহামারীর প্রভাবে ৩ মাস কাজ বন্ধ ।  বিয়েসহ অন্যান্য সামাজিক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উৎসব পালন বন্ধ থাকায় 
চরম ভবিষ্যৎ সংকটে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। 

এম সেডো ফোটোগ্রাফি ফার্মের  কর্নধার ও চীফ ফটোগ্রাফার রাহুল সরকার সিভয়েসকে জানান, ওয়েডিং ফোটোগ্রাফি একটি শিল্প। এই ব্যবসা এখন খারাপ অবস্থা। কয়েক মাস লকডাউন কারণে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট গুলো বন্ধ। অনেক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর সাথে অনেক কর্মজীবী যুক্ত । এই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের অনেক সেক্টর রয়েছে যেমন লাইটিং, প্যান্ডেল, ফুলের ব্যবসায়ী ইত্যাদি। পরিস্থিতি এমন হনে তা কে জানে। চট্টগ্রামে যে হারে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে তাতে মনে হয় না সহসা সুদিন আসবে।

নাজমুল রাতুল

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়