Cvoice24.com


হাসিলের নামে বাড়তি টাকা আদায়ের ফাঁদ প্যারেড মাঠ!

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ৫ জুন ২০২০
হাসিলের নামে বাড়তি টাকা আদায়ের ফাঁদ প্যারেড মাঠ!

ছবি: সিভয়েস

করোনার বিস্তার ঠেকাতে প্যারেড মাঠে স্থানান্তরিত অস্থায়ী চকবাজার কাঁচা বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাসিলের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে ইজারাদার। প্যারেড মাঠের জায়গাটি চট্টগ্রাম কলেজের হলেও দৈনিক ভিত্তিতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করছে তারা। দোকান প্রতি আগে আদায় হতো ৯০ টাকা। এখন হাসিল হিসেবে অতিরিক্ত তোলা হচ্ছে আরো ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এমনটিই অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। 
 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কলেজ মাঠে বাজার স্থানান্তরের পর থেকে তারা প্যারেড মাঠে ব্যবসা করছেন। তবে স্থানান্তরের পর মূল বাজারে যা হাসিল আদায় করা হতো তার থেকে তিন চার গুণ বেশি আদায় করছে ইজারাদারা। সবজি, মাছ-মাংস বিক্রেতাদের কাছ থেকে অনেকটা জিম্মি করে তারা অতিরিক্ত হাসিল আদায় করছেন। তাদের ইচ্ছেমত হাসিল পরিশোধ করলে ব্যবসা করা যাচ্ছে নয়তো ফিরে যেতে হচ্ছে।

জানা গেছে, চকবাজার কাঁচা বাজারটি বর্তমানে হাজী সেলিম ও দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজনের হাতে রয়েছে। তারা টেন্ডারের মাধ্যমে সিটি করপোরেশন থেকে বাজারটি ইজারা নেন। এখন তারাই প্যারেড মাঠ থেকে হাসিলের নামে টাকা আদায় করছেন। সেটা মূল হাসিলের পরিমাণ থেকে অনেক বেশি। যদিও প্যারেড মাঠটি চট্টগ্রাম কলেজেরই জায়গা।

পুলিশ বলছে, প্যারেড মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় ছোট বড় মিলিয়ে ১০০ টি দোকান চলছে। থানা পুলিশই এসব দোকানিদের দেখাশোনা করছেন। এখানে কারো কাছ থেকে অতিরিক্ত হাসিল তোলার প্রশ্নই উঠে না। সিটি করপোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত হাসিলের চেয়ে অতিরিক্ত হাসিল তোলা যৌক্তিক নয়। তারা এ পর্যন্ত অতিরিক্ত হাসিল তোলার কোন অভিযোগ পাননি।

এছাড়া অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, পুলিশকে ম্যানেজ করেই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। শুরুর দিকে আরও ভয়াবহ অবস্থা ছিল। এ চক্রের হয়ে আনিস ও বিপ্লব নামের দুজন লোক বাজার থেকে নিয়মিত ভয়ভীতি দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাংস দোকানি বলেন, পুলিশ এসে কাউকে অতিরিক্ত টাকা না দিতে বল্লেও তারা জোরপুর্বক তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। টাকা না দিলে দোকান বন্ধ করারও হুমকি দেন। যার কারণে অনেক ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ রাখছেন। টাকা দিতে না পেরে অনেক ব্যবসায়ী মূল কাঁচা বাজারে চলে যাচ্ছেন। নিষেধ থাকলেও সেটাই করছেন অনেক ব্যবসায়ী।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ইজারাদারদের একজন হাজী সেলিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিয়ম মেনেই  হাসিল নেয়া হচ্ছে। কারো কাছ থেকে অতিরিক্ত কোনো টাকা নেয়া হচ্ছে না। 

শেষে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি আর কিছু বলতে চাইনা। কারণ আমি সেভাবে এ হাসিল পক্রিয়ার সাথে জড়িত নই।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, প্রথম দিকে হাসিল ছাড়াই ব্যবসা করেছিল ব্যবসায়ীরা। পরে মুল কাঁচা বাজারের ইজারাদাররা সিটি করপোরেশন থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে হাসিল তুলছেন। তিনি বলেন, অতিরিক্ত হাসিল নেয়ার অভিযোগ তারা কারো কাছ থেকে পাননি। পেলে অবশ্য বিবেচনায় নেয়া হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সিভয়েস/এসএইচ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়