Cvoice24.com


‘বিকাশ’র অসঙ্গতিগুলো সামনে আনলেন সরকারের সচিব, ফেসবুকে ক্ষোভ

প্রকাশিত: ১৯:২২, ২ জুন ২০২০
‘বিকাশ’র অসঙ্গতিগুলো সামনে আনলেন সরকারের সচিব, ফেসবুকে ক্ষোভ

মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশে প্রতারণার হাত থেকে কোনভাবেই রেহাই মিলছে না গ্রাহকের। প্রতি বারই নতুন ফন্দি বানিয়ে গ্রাহকের সবটুকু কেড়ে নিচ্ছেন প্রতারকরা। কখনো বিকাশে মূল নম্বর ক্লোন করে, কখনো পিন নাম্বার চুরি করে, আবার কখনো এজেন্ট সেজে কল করে প্রতারিত করছে গ্রাহককে। বিকাশ গ্রাহকের এসব অভিযোগ অনেক পুরানো।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিকাশ গ্রাহকদের প্রতারণার শিকার হওয়া এসব খুঁটিনাঁটি ঘটনা নিয়ে নিজের ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে এসে ক্ষোভ ঝাড়লেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব করিম মিলন। যিনি নিরাপদ খাদ্য ও রেলের যাত্রী সেবার মানোন্নয়নে কাজ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।   

তার ওই পোস্টে এক কারখানার কর্মচারির উদ্ধৃতি দিতে তিনি লিখেছেন, ‘কারখানার কয়েকজনের বেতন ছিল তার একাউন্টে। এজেন্টের কাছে গিয়ে ক্যাশ আউট করেছে পাঁচ হাজার। সেখান থেকে ফিরে কিছুক্ষণ পর দেখে বাকি দশ হাজার টাকা নেই তার একাউন্টে। মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে প্রায় পাঁচশত কমেন্ট পড়েছে পোস্টে। প্রায় সবার প্রশ্ন একটাই। এটা হতে পারে না। নিশ্চয়ই আপনি পিন নাম্বার দিয়েছেন, বা বলেছেন কিংবা আপনার মোবাইল দিয়েছেন এজেন্টকে। বেচারা দেখলাম কোন উত্তর দেননি। তিনি স্ক্রিনশটে তাঁর মোবাইল নাম্বার দিয়েছিলেন। যেহেতু আমি বিষয়টি খুব একটা ভাল বুঝি না, তাই তথ্য উদঘাটনের জন্য আমার এক ভাই বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ পরিচালকে সেই নাম্বার দিয়ে বললাম তাঁর সাথে কথা বলতে। কিছুক্ষণ পর  ব্যাংক কর্মকর্তা জানালেন, সেই বেচারা ক্যাশ আউট করার সময় পিন নাম্বার এজেন্টকে দিয়েছিল।’

নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এর মাত্র কয়েকদিন আগে বিকাশ একাউন্ট খুলেছি। ঐ মোবাইলে একটু সমস্যা হওয়ায় আমার এনআইডি দিয়ে অন্য মোবাইলে আবার একাউন্ট খুলতে গিয়ে দেখছি একসেপ্ট করছে না। পরে শুনলাম এক এনআইডি'র বিপরিতে মাত্র একটি একাউন্ট খোলা যায় এবং সেই একাউন্টের ঐ নির্দিষ্ট মোবাইল নাম্বার ছাড়া ট্রানজেকশন করা যায় না।’

তাছাড়া বিকাশের প্রচলিত সিকিউরিটি সিস্টেম ও ক্লিয়ারেন্স নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সরকারের অতিরিক্ত এ সচিব । এসময় তিনি বেশ কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমার একাউন্ট হতে টাকা পাঠাতে হলে তো আমার মোবাইল এবং আমার পিন লাগবে। তাহলে শুধু পিন নাম্বার নিয়ে অন্য মোবাইল দিয়ে প্রতারণা হচ্ছে কিভাবে? সেক্ষেত্রে আপনাদের সিকিউরিটি সিস্টেম ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছে কিভাবে?’

এছাড়া এসব সমস্যা সমাধানের জন্য বিকাশকে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিকাশ এর প্রতিটি সেন্ড মানি ট্রানজেকশনে অবশ্যই টু ওয়ে অথেনটিকেশন চালু করা প্রয়োজন। একাউন্টের মোবাইলে কোড নাম্বার আসবে, সেটি ভেরিফাই হবার পর টাকা সেন্ড হবে।’

-সিভয়েস/এমএম

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়