Cvoice24.com


সিভয়েসে সংবাদ প্রকাশ: রাস্তার কাজ শুরু কাট্টলীর সেই শ্মশানের

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ২ জুন ২০২০
সিভয়েসে সংবাদ প্রকাশ: রাস্তার কাজ শুরু কাট্টলীর সেই শ্মশানের

ছবি: সিভয়েস

চট্টগ্রামের ২৪ ঘণ্টার জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল সিভয়েস এ উত্তর কাট্টলী সনক দত্ত সার্বজনীন মহাশ্মশানের যাতাযতের দূরাবস্থা নিয়ে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার তিন দিনের মাথায় সমস্যা সমাধান হতে যাচ্ছে। নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দাহ করা হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্ধারিত এই শ্মশানে। শ্মশানটি উত্তর কাট্টলী সনক দত্ত সার্বজনীন মহাশ্মশান নামে পরিচিত। 

চসিক নির্ধারণ করার পর নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে শ্মশানটিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দাহ করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন যাকে কমিটির প্রধান করেছেন তিনিই হতাশা প্রকাশ করে উল্টো সরকারের সহযোগিতা চাচ্ছেন। সমুদ্র উপকূলের এ শ্মশানে রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানির প্রতিকূলতা সরকার বা সিটি কর্পোরেশন দেখার কথা থাকলেও এ নিয়ে নেই কারো মাথা ব্যথা। অবশেষে মোস্তফা-হাকিম গ্রুপ এগিয়ে আসলো রাস্তার সমস্যা সমাধানে। এই শিল্প গ্রুপের কর্ণধার সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম। 

সনক দত্ত শ্মশানের দূর্ভোগ নিয়ে জানতে চাইলে উত্তর কাট্টলীর বাসিন্দা সাংবাদিক জুয়েল শীল বলেন, 'শ্মশানটিতে অনেক ধরণের সমস্যা আছে। তারমধ্যে রাস্তার সমস্যাটি একটি। সিভয়েস এটা নিয়ে সর্ব প্রথম শ্মশানে যাতায়াতের করুন চিত্র নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বিষয়টি মোস্তফা হাকিম গ্রুপের নজরে আসলে তারা এগিয়ে আসে। যদিও এটি সিটি কর্পোরেশন ও সরকারের করার কথা ছিল। এখন সিটি কর্পোরেশন বা সরকার এ শ্মশানের বৈদ্যুতিক সংযোগ, পানি ও শৌচাগারের সমস্যা সমাধান করলে ভালো হতো।

এই শ্মশান পরিচালায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহরলাল হাজারীকে। জানতে চাইলে তার কাছে তিনি বলেন, 'শ্মশান নিয়ে এখন যে দুর্ভোগ আছে, আগামীতে তা আরো বাড়তে পারে। এই সংকট নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপ আশা করি। কেননা করোনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের দাহ করার জন্য সরকারের এগিয়ে আসা উচিত। এছাড়া সিটি কর্পোরেশন আমাদেরকে এ শ্মশান নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কিন্তু শ্মশানের সমস্যাগুলো নিয়ে এখনো কেউ এগিয়ে আসেনি।’

নগর আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক জহরলাল হাজারী আরো বলেন, 'এরপরেও নিজে থেকে এগিয়ে আসার জন্য মোস্তফা-হাকিম গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই। উনারা বেড়িবাঁধ থেকে শ্মশান পর্যন্ত পুরো রাস্তা তৈরি করে দিচ্ছেন। যেন জোয়ারের পানি আসার কারণে শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে যেতে ও দাহ করতে কোন সমস্যা না হয়।'

এ প্রসঙ্গে মোস্তাফা-হাকিম গ্রুপের পরিচালক সরোয়ার আলম বলেন, ‘এ শ্মশানটি নির্মাণ করার সময় আমার বাবা (সাবেক চসিক মেয়র মনজুর আলম) সহায়তা করেছিলেন। বর্তমানের এই সমস্যা আমরা অনুধাবন করার পর নিজ উদ্যোগে শ্মশানটির রাস্তার কাজ শুরু করেছি। বেড়িবাঁধ থেকে শ্মশান পর্যন্ত ৬০০ ফুট দৈর্ঘ্যে, ১৫ ফুট প্রস্থে ও ১০ ফুট উচ্চতায় রাস্তাটি তৈরি করছি। এছাড়া এ শ্মশানে বিদ্যুৎ, পানি ও শৌচাগারের সমস্যা আছে। এ সমস্যা সমাধানে কি করা যায় আমরা তা নিয়েও ভাবছি।’

-সিভয়েস/এসজেবি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়