Cvoice24.com


চট্টগ্রাম নগরে করোনা আক্রান্ত এলাকা ৭৩২

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ২ জুন ২০২০
চট্টগ্রাম নগরে করোনা আক্রান্ত এলাকা ৭৩২

নগরীতে করোনা আক্রান্ত সংখ্যার সাথে বাড়ছে ভবন ও কাঁচা ঘর লকডাউন সংখ্যা। এখন পর্যন্ত লকডাউনের কবলে পড়ছে ৬ টি ঝুকিপূর্ণ জোনের ৭৩২ টি এলাকার ৯৪০ টি ভবন ও ১ হাজারেরও বেশি কাঁচা ঘর। তবে এরমধ্যে আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে, কোতোয়ালি থানা এলাকা আর ৮৬ জন নিয়ে সদরঘাট থানা কম আক্রান্তের তালিকায় আছে। 

নগর পুলিশের বিশেষ শাখার (সিটিএসবি) সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।  

সিটিএসবি সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত নগরীতে করোনো আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩০০ জন। এরমধ্যে সাধারণ নাগরিক, ডাক্তার, আইনজীবী ও সরকারি চাকরিজীবীর পাশাপাশি ১৬৮ জন আইন শৃংখলা বাহীনির সদস্যও রয়েছেন। নগরীতে এ পর্যন্ত ৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার মধ্যে ২ হচ্ছেন সিএমপির সদস্য।

গত ৩ এপ্রিল সর্ব প্রথম নগরীতে করোনা রোগী পাওয়া যায় গত এপ্রিলের ৩ তারিখ। প্রথম সে রোগীর বাসা ছিল চকবাজার থানাধীন দামপাড়া মসজিদ গলির একটি তিন তলা ভবনে। সেখান থেকে শুরু হয়ে পাহাড়তলী, দামপাড়া পুলিশ লাইন, কাট্টলি, চান্দগাঁও ও চকবাজার হয়ে এখন ছড়িয়ে পড়েছে সব থানা এলাকায়। মোট ৭৩২ টি এলাকায় এখন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ রয়েছে। ধীরে ধীরে সেটির পরিধিও বাড়ছে।

সিটিএসবি জানায়, নগরীর ১৬ থানার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত সংখ্যা কোতোয়ালি থানা এলাকায়। ৩২৪ জন নিয়ে বর্তমানে এ থানা এলাকাটি-ই রয়েছে শীর্ষে। এরপরে ২১৫ জন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাঁচলাইশ। বাকী থানাগুলোতে করোনা রোগী রয়েছে যথাক্রমে বাকলিয়ায় ৯৯ জন, চকবাজার ১১১ জন, সদরঘাট ৮৬ জন, চান্দগাঁও ১০৬ জন, বায়েজিদ ৯৯ জন, খুলশী ১৮৩ জন, ডবলমুরিং ১৪১ জন, পাহাড়তলী ১১৪ জন, হালিশহর ১৬৭ জন, আকবরশাহ ১১১ জন, ইপিজেড ১১২ জন, বন্দর ১২৩ জন ও পতেঙ্গা ১৬৮ জন। এছাড়া ঠিকানা অসম্পূর্ণ এমন করোনা রোগী রয়েছে ৮৬ জন।

সিটিএসবির কর্মকর্তারা আরো জানান, লকডাউন সংখ্যা আক্রান্ত সংখ্যার সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছেই। প্রতিদিনই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ঘোষণা দিয়ে ভবন লকডাউন করা হচ্ছে। আবার যে ভবন বা ঘর ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইন শেষ করছে  সেগুলো থেকে ঘোষণা দিয়ে তুলে নেয়া হচ্ছে লকডাউন।

প্রথম দিকে লকডাউন করা ভবনে একটা টিম করে পুলিশ সদস্য রাখা হতো। বর্তমানে জাস্ট ঘোষণা দিয়েই লকডাউন করা হচ্ছে। তবে লকডাউন করা ভবন না ঘরগুলো থানার মোবাইল টিম ও সিটিএসবির একটি টিম নিয়মিত পরিদর্শন করেন। তারা সংক্রমণ যাতে নগরীতে না বৃদ্ধি পায় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।

সিটিএসবির উপ-কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ সিভয়েসকে বলেন, 'গত ৩ এপ্রিল নগরীতে করোনা আক্তান্ত রোগী পাওয়া যায়। সেদিন দামপাড়ায় প্রথম নগরীর কোনো ভবন লকডাউন করা হয়। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ভবন ও কাঁচা ঘর লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ার কারণে এবং সিএমপির জনবল সংকটের কারণে ভনগুলোতে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে নিয়মিত মনিটরিং করে লকডাউনকৃত ভবন ও কাঁচা ঘরগুলো পরিদর্শন করা হয়।'

হিমসিম পোহাতে হলেও সংকট না যাওয়া পর্যন্ত এমন লকডাউন পদক্ষেপ চলমান থাকবে এবং নিয়মিত তা মনিটরিং করা হবে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল ওয়ারিশ।

সিভয়েস /এসএইচ/এডি

সরকার হাবীব 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়