Cvoice24.com

আতঙ্কে মানুষ
খোলা বেড়িবাঁধে প্লাবিত আনোয়ারার বারআউলিয়া এলাকা

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ২০ মে ২০২০
খোলা বেড়িবাঁধে প্লাবিত আনোয়ারার বারআউলিয়া এলাকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে আনোয়ারার উপকূল রায়পুর ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বুধবার (২০ মে) দুপুরে খোলা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ডুকতে শুরু করে। এতে করে আনোয়ারা উপকূলবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  উপকূলের ৫০ হাজার মানুষ ঘূর্ণিঝড়টির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে নিরাপদে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে।  

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার ৫৮টি স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোও আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দুর্যোগকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। একই সাথে মানুষ তাদের গবাদি পশুও নিয়ে আসতে পারবেন। 

বুধবার দুপুরে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম রায়পুর, বারশত, বটতলীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্র গুলো পরিদর্শন করেন। ঝড়ের সংকেত জানিয়ে বিশেষ বিশেষ স্থানে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সতর্ক করে উপকূলের বিভিন্ন স্থানে মাইকিংও করছে তারা। 

সরেজমিন বুধবার দুপুরে রায়পুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানির ঢেউয়ে বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। গহিরা বার আউলিয়া এলাকার বেড়িবাঁধের খোলা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে উপকূলে। এছাড়া উত্তর পরুয়াপাড়া থেকে গহিরা, দক্ষিণ গহিরা ও সরেঙ্গা এলাকার বেডিবাঁধের যে অংশে পাথর নেই সেই সব এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। 

অপরদিকে জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদুর রহমান খোকা জানান, ইউনিয়নের ৪ নং ওর্য়াড লামার বাজার এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় অন্তত ৫ হাজার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব এলাকায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধিও সাথে সাথে পানি উঠানামা করে।

রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম বলেন, ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকায় বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন অংশে পানি প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে গেছে। রায়পুর ইউনিয়নে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র আছে মাত্র ১৩ টি। তাই এ ইউনিয়নের সম্পন্ন মানুষই চরম ঝুঁকিতে আছে।

আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। গত ২ দিন ধরে উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিয়ে কয়েক দফায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা প্রস্ততি কমিটি গঠন করে বৈঠকও করা হয়। উপজেলায় সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য কন্ট্রোর রুম খোলা হয়েছে।  ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও পরে মানুষের জানমালের ক্ষতি যাতে না হয় সে জন্য সক ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের

আনোয়ারা প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়