Cvoice24.com

‘কেউ জানতে চাইলে বলেন— আমি ডেলিভারিম্যান’
প্যাকেটভর্তি বাজারসদাই নিয়ে মধ্যবিত্তের ঘরে জিসান

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ৪ এপ্রিল ২০২০
প্যাকেটভর্তি বাজারসদাই নিয়ে মধ্যবিত্তের ঘরে জিসান

ত্রাণ হাতে কেউ তাকে দেখলে তিনি বলতেন, আমি ডেলিভারি ম্যান। তাদের অর্ডার ছিল সেটা দিতে এসেছি। তার নাম ফরহাদ জিসান। এ দুর্যোগে মধ্যবিত্তের ঘরে নিজ উদ্যোগে পৌঁছে দিচ্ছেন খাবারভর্তি প্যাকেট।

জানা যায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি মানুষের ঘরে ত্রাণ পৌঁছুলেও চরম দুর্দিনে পড়েছেন নগরে বসবাসকারী মধ্যবিত্ত শ্রেণি। হাত পাততে না পারা এই মধ্যবিত্ত সমাজ করোনায় অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ব্যক্তিগত উদ্যোগ থেকে তাদের জন্য এগিয়ে আসেন সামাজিক সংগঠন ‌যাত্রী ছাউনির প্রতিষ্ঠাতা ফরহাদ জিসান। প্রথম ধাপে ৫০০ দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ৩দিনের খাদ্য সামগ্রী দেয়ার পরই শুরু করেন ‌প্রজেক্ট মধ্যবিত্ত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ফোন নাম্বার দিয়ে তিনি লিখেছেন,  "এ পরিস্থিতিতে যারা নিজের অভাবের কথা স্ত্রী সন্তানদেরও জানাতে পারছেন না তারা নিঃসংকোচে আমার নাম্বারে ফোন দিন আমি শতভাগ আপনার পরিচয় গোপন রাখবো। কথা দিচ্ছি আমি আর আমার বাইক ছাড়া আর কেউই জানবে না। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে তার এই পোস্ট। যেমন কথা তেমন কাজ কল আসা মাত্রই নিজের বাইক নিয়ে এক সপ্তাহের বাজার নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন শহরের এই মাথা থেকে ঐ মাথা। যাদের ঘরে বাচ্চা আছে তাদের বাচ্চার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন নান ও ল্যাকেটোজেন দুধ। 

বাড়ি বাড়ি ত্রাণ সমেত ব্যাগ দিতে গেলে যখনই আশেপাশের কেউ জিজ্ঞেস করে তখনই তিনি বলতেন, ওনারা অনলাইনে অর্ডার করেছিলেন বাজার, আমি ডেলিভারি ম্যান

তার এ উদ্যোগে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফিরতি মেসেজ করেছেন অনেকেই। সাধুবাদ জানাচ্ছেন সমাজের সর্বস্তর মানুষ। 

সিভয়েস থেকে  ফোন করা হলে তিনি বলেন, সারাদেশে দিনমজুর ও মানুষের কাছে চাইতে পারে এমন লোকেরা সবার সাহায্য পেলেও সামাজিক মর্যাদা সম্পন্ন মধ্যবিত্তরা  কারও কাছে চাইতে পারে না। অন্যদিকে তাদের কষ্টের কথা আমাদের কাছে অজানাও নয়। এমন একজন ব্যক্তি আমার কাছে তার অবস্থার কথা শেয়ার করেন। এরপর আমি এই প্রজেক্ট মধ্যবিত্ত নিয়ে মাঠে নামি। আমি চাই সকল সামাজিক সংগঠন এবং বিত্তবানরাও দিনমজুরদের পাশাপাশি পরিচয় গোপন রেখে এদের একটু হেল্প করেন।

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়