Cvoice24.com

চট্টগ্রামে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

সময় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড


প্রিজনভ্যান মুক্ত আদালত পাড়া, আসামি ছাড়াই চলছে কার্যক্রম

প্রকাশিত: ১৫:৩৯, ২২ মার্চ ২০২০
প্রিজনভ্যান মুক্ত আদালত পাড়া, আসামি ছাড়াই চলছে কার্যক্রম

দেশে করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) ঠেকাতে নানান পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে দু-চারটি দেশ ছাড়া প্রায় সবকটি দেশের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লক ডাউন করে দেয়া হয়েছে দেশের অভ্যন্তরে এক-দুটি জায়গা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্ট কারাবন্দি আসামিদের ছাড়াই নিম্নআদালত জামিনসহ সব ধরনের শুনানির নির্দেশনা দিয়েছেন। আদালতের এমন সিদ্ধান্তের ফলে আদালত পাড়া হয়ে পড়েছে প্রিজনভ্যানমুক্ত। আদালত পাড়ায় নেই প্রিজনভ্যানের গর্জন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিদিন প্রায় চারশরও বেশি আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে আনা-নেওয়া করেন বেশ কয়েকটি ছোট-বড় প্রিজনভ্যান। এই প্রিজনভ্যানগুলোর ফলে আদালত পাড়ায় সবসময় লেগে থাকতো যানজট। সৃষ্টি হতো শব্দ দূষণেরও। আসামি ছাড়া শুনানি কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনার পর থেকে এসব আর নেই। 

তারা বলছেন, করোনা ভাইরাস একজন থেকে আরেকজনের মাঝে দ্রুত ছড়ায়। তাই উচ্চ আদালতের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত ছিল। এর ফলে কারাগারে যারা আছে তারাও নিরাপদে থাকবে, আদালত সংশ্লিষ্টরাও নিরাপদ থাকবে।

গত ১৯ মার্চ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল মো. আলী আকবর এ সংক্রান্ত একটি  সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) জনিত উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে কারাগার থেকে কারাবন্দি আসামিদের জামিন শুনানিকালে এবং মামলার অন্যান্য কার্যক্রমে আদালতে উপস্থিতকরণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ । এমতাবস্থায় জামিন শুনানিকালে এবং মামলার অন্যান্য কার্যক্রমে কারাগার থেকে কারাবন্দি আসামিদের প্রিজনভ্যান অথবা অন্য কোনোভাবে আদালত কক্ষে হাজির করা যাবে না। কারাবন্দি আসামিদের কারাগারে রেখে জামিন শুনানি করতে হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মামলার কার্যক্রম মুলতবি করতে হবে।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) শাহাবুদ্দিন আহমদ সিভয়েসকে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর থেকে আদালত পাড়ায় আর কোনো প্রিজনভ্যান ঢুকে নাই। কোনো আসামিকে কারাগার থেকে আদালত পাড়ায় আনাও হয়নি। উচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্ত করোনা ভাইরাস ঠেকাতে ভুমিকা রাখবে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোকতার আহমদ সিভয়েসকে বলেন,আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আদালতের কার্যক্রম সীমিত করার আবেদন ছিল। উচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্ত আদালতের কার্যক্রম সীমিত করারই অংশ। এটা দরকার ছিল। আশা করি করোনা ঠেকাতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সুপ্রীম কোর্ট।

উল্লেখ্য, নিয়মিত হাজিরা, জামিন শুনানি, রিমান্ড শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শুনানিসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে কারাগার থেকে কারাবন্দিদের আদালত পাড়ায় আনা হয়। আসামিদের আদালতে আনতে পুলিশের প্রিজনভ্যান ব্যবহার করা হতো।

সিভয়েস/এসএইচ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়