Cvoice24.com


খাগড়াছড়িতে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ, পাহাড় ধসের আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৯ মার্চ ২০২০
খাগড়াছড়িতে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ, পাহাড় ধসের আশঙ্কা

ছবি: সিভয়েস

খাগড়াছড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবাধে চলছে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ। গত কয়েকটি বর্ষার মতো এবারও পাহাড় ধসের ঝুঁকি বাড়ার আশংকা করছেন সচেতন বাসিন্দারা। পাহাড় কাটা প্রতিরোধে প্রশাসনের তৎপরতায় কিছু দিন বন্ধ থাকলেও সুযোগ বুঝে আবারও চলে পুরানো অপতৎপরতা।

সরেজমিনে জেলা সদরের খাগড়াপুর, শালবন, সবুজবাগ ও কুমিল্লাটিলা এলাকায় প্রতিনিয়ত পাহাড় কাটা চললেও স্থানীয়রা কেউই প্রশাসনের কাছে কোন অভিযোগ করছেন না। মূলতঃ পাহাড় কেটে প্রথমে আবাসিক প্লট সৃষ্টি এবং পরে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের রমরমা ব্যবসার কারণেই শহরে পাহাড় কাটা বেড়ে চলেছে বলে মনে করছেন খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সা. সম্পাদক সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু দাউদ।

বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেলে জেলা সদরের খাগড়াপুর পুলিশ লাইন্স এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দেশীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে পাহাড় কাটা হচ্ছে। পাহাড়ের বুকে শাবল দিয়ে মাটি সরাচ্ছে ৩-৪ জন শ্রমিক। পাহাড়ের মাটি কেটে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্য জায়গায়।

সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়টি কিনে নেন জনৈক জসিম। জায়গা কেনার পর থেকে শ্রমিক লাগিয়ে পাহাড়ের মাটি কেটে তা অন্যত্র সরিয়ে সমতল করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

বুধবার বিকেলে পাহাড় কাটার ছবি তুলতে গেলে জসিম সাংবাদিকদের জানান, তিনি কিছুদিন আগে জায়গাটি কিনেছেন। জায়গা কেনার পর থেকে অনেকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এঘটনায় যেন কোন সংবাদ করা না হয়, সে বিষয়েও সংবাদকর্মীকে তাগাদা দেন।

খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সা. সম্পাদক মুহাম্মদ আবু দাউদ জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিবেশ সুরক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি করার মতো সক্ষমতা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন স্থানীয় কার্যালয় না থাকায় এ বিষয়ে প্রশাসন অনেকটা দায়সাড়া ভাব নিয়েই থাকেন।

তিনি দাবি করেন, বিশেষ করে বর্ষাকালে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা ভারী বর্ষণের সময় নামে মাত্র অভিযান চালালেও সারাবছর কোন ভূমিকা দেখা যায় না।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সা. সম্পাদক এড. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, জেলায় বছর জুড়েই কোথাও না কোথাও পাহাড় কাটা অব্যাহতভাবে চলছে। সরকারের বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্যও পাহাড় কাটা হচ্ছে। সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের সম্পৃক্ততায় যদি পাহাড় কাটা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিবেশ আইন না মানা এবং পাহাড় কাটার প্রবণতা রোধ করা যাবে না।

তিনি বিশেষ করে পরিবেশ আইন, প্রকৌশল ও বিজ্ঞান সম্মত কোন প্রক্রিয়া না মেনে পাহাড় কাটায় খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের আশংকা বাড়ছে বলে মত ব্যক্ত করেন। 

খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাবিব উল্লাহ মারুফ জানান, এটি জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেখেন। 

-সিভয়েস/এমএম

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়