লামায় ত্রিপুরা পল্লীতে চুলার আগুনে পুড়ল সাত বাড়ি

বান্দরবানের লামায় চুলার আগুনে সাত বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। বুধবার (১৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আকিরাম ত্রিপুরা পাড়াতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, লামা ফায়ার সার্ভিস, গজালিয়ার আনসার-ভিডিপি সদস্য, পুলিশ ও স্থানীয় জনগণের দেড় ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয় সাবেক মেম্বার নেলসন ম্যান্ডেলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোনা চন্দ্র ত্রিপুরা নামে এক ব্যক্তির বাড়ির চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

লামা ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মোজাম্মেল হক বলেন, খবর পাওয়া মাত্র আমরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে ছুঁটে আসি। দেড় ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রতিটি ঘরের সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কোন লোকজন হতাহত হয়নি। আমাদের একজন টিম লিডার আগুন নেভাতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। 

এদিকে আগুনে পুড়ে যাওয়া ৭ বসতবাড়িতে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিকেলে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারকে ৩টি কম্বল, ২০ কেজি চাল ও পেয়াজ, রসুন, তেল সহ অন্যান্য গৃহস্থলী সরঞ্জাম দেয়া হবে। এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে। 

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ইলিশায় ত্রিপুরা বলেন, সোনা চন্দ্র ত্রিপুরার বাড়িতে বয়স্ক কেউ ছিল না। সবাই জুমে কাজ করতে গিয়েছিল। বাড়িতে ছোট বাচ্চারা চুলায় আগুন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। মূহুর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে যাওয়া ৭টি বসতবাড়িতে ৯টি পরিবারের কোন কিছু রক্ষা করা যায়নি। এই পাড়াটিতে ১৮২াট ত্রিপুরা পরিবার বসবাস করে। এইটি বান্দরবান জেলার সবচেয়ে বড় উপজাতি পাড়া। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে পুরো পাড়াটি পুড়ে যেত। 

ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ও স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই মুহুর্তেই আশেপাশের বাড়িঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নিমিষেই ৭টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল। তিনি বলেন, সমবেদনা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।