Cvoice24.com


জঙ্গি জাবেদ ও বোমারু মিজানের মামলা দ্রুত শেষ করতে চায় রাষ্ট্রপক্ষ

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ১৬ মার্চ ২০২০
জঙ্গি জাবেদ ও বোমারু মিজানের মামলা দ্রুত শেষ করতে চায় রাষ্ট্রপক্ষ

চট্টগ্রাম আদালতের পুলিশ চেক পোস্টে বোমা হামলা চালিয়ে পুলিশসহ দুইজনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলাটি দ্রুত শেষ করতে চায় রাষ্ট্রপক্ষ। এ জন্য তারা প্রথমে অবশিষ্ট থেকে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করে পরে আসামি পক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক যথাক্রমে শেষ করতে চায়। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন সাক্ষীর প্রতি রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সমন জারি করেছেন আদালত।

বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ এ মামলাটি চলছে চট্টগ্রামের একমাত্র সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে। এ ট্রাইব্যুনালে বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুল হালিম। 

ট্রাইবুনাল সূত্র জানায়, তারা গত ১ বছরে ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে। সব মিলে হয়েছে ৩১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ । এর মধ্যে গত বছরের ২৪ জুন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী আবুল হোসেনের মৃত্যুকালীন জবানবন্দি রেকর্ডকারী চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: জেএমবি’র বোমা হামলা, ১৪ বছরেও শেষ হয়নি বিচার কাজ

রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, কখনো বিচারক সংকট আবার কখনো কৌঁসুলী সংকট লেগেই ছিল এই ট্রাইব্যুনালে। যার কারণে আদালতের চেক পোস্টে বোমা হামলাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ  মামলার শুনানি হয়নি। কিন্তু এখন আর সেসব সংকট নেই। আমরা মামলাটি দ্রুত শেষ করতে চাই। সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। 

রাষ্ট্রের কৌসূলি মনোরঞ্জন দাশ সিভয়েসকে বলেন, মামলাটি শেষ করতে সরকার খুবই আন্তরিক। আশা করি দ্রুতই মামলাটি শেষ করতে পারবো।

২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর আদালতের পুলিশ চেক পোস্টে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। এতে নিহত হন পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও বিচারপ্রার্থী ফুটবলার শাহাবুদ্দীন আহমদ। এ ঘটনায় নগরের কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এর মধ্যে একটি বিস্ফোরক আইনে ও অন্যটি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে। বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হলেও পুলিশসহ দুইজন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলাটির বিচার কার্যক্রম এখনো বিচারাধীন। এ মামলায় ২০০৬ সালের ২৮ মে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার কোতোয়ালি থানা পুলিশ কর্মকর্তা ও তৎকালীন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হ্লা সিং প্রু। এরপর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচারকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

আদালতসূত্র জানায়, গুরুত্বপূর্ণ এ মামলার আসামিদের মধ্যে মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই এবং জেএমবির সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানিকে ঝালকাঠি আদালতে বোমা মেরে দুই বিচারক হত্যা মামলার রায়ে ফাঁসি দেয়া হয়। বাকি দুইজনের মধ্যে জেএমবির চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান জাবেদ ইকবাল ওরফে মুহাম্মদ বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং বোমারু মিজান নামের আরেক আসামি পলাতক, তবে বর্তমানে বোমারু মিজান ভারতের কারাগারে রয়েছে।

সিভয়েস/এসএইচ/এসএএস

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়