Cvoice24.com


কোটি টাকার আফিম মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি রাষ্ট্রপক্ষের ব্যর্থতায়!

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ১১ মার্চ ২০২০
কোটি টাকার আফিম মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি রাষ্ট্রপক্ষের ব্যর্থতায়!

ফাইল ছবি

কোটি টাকার একটি মাদক মামলায় আদালতে আলামত উপস্থাপন না করায় মামলার বাদির সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি। অথচ সমন পেয়ে ঠিক সময়ে সাক্ষ্য দিতে আদালত কক্ষে হাজির ছিলেন মামলার বাদি। বুধবার (১১ মার্চ) দুপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের ৫ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ জহির উদ্দিনের আদালতে। পরে বিচারক জহির উদ্দিন পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১২ এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য করে মামলার আলামত উপস্থাপনের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহিবুল্লাহ চৌধুরী সিভয়েসকে বলেন, আলামত অবশ্যই অক্ষত রয়েছে। তবে কিছু কারণে তা উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। আগামী ধার্য তারিখে আলামত উপস্থাপন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ এ মামলার বাদির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে কোনো মামলায় আদালতের চাহিদা অনুযায়ী মামলার আলামত উপস্থাপন করা সরকারি কৌসূলীর দায়িত্ব। ধার্য তারিখে আলামত উপস্থাপন করতে না পারাটা তাদের ব্যর্থতা। এমনটা হওয়া উচিত না। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এবং সমাজ থেকে মাদক নির্মুলে এসব ব্যর্থতা এক ধরণের বাধা।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ মার্চ নগরের চকবাজার থানাধীন অলি খাঁ মসজিদের পাশের জামান হোটেল থেকে ১ কেজি আফিমসহ চারজনকে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এসব মাদকের বাজারমূল্য প্রায় কোটি টাকারও বেশি বলে সেসময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়। এ ঘটনায় মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তৎকালিন পরিদর্শক ব্রজলাল চাকমা চকবাজার থানায় গ্রেফতারকৃত চার আসামির বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। 

মামলার এজহারে বলা হয়, পরস্পরের সহযোগিতায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্য অবৈধ মাদকদ্রব্য আফিম নিজেদের দখলে রেখে সংরক্ষণ ও বহন করার অপরাধ করেছেন গ্রেফতারকৃতরা। গ্রেফতারকৃতরা হলেন,কক্সবাজারের চকরিয়ার মৃত জাকের উল্লাহর ছেলে জিল্লুল করিম (৪৯), একই জেলার ঈদগাঁর মৃত লাল আহমেদের ছেলে মকবুল আহমেদ, কুমিল্লা জেলার মনোহারগঞ্জের রাজা মিয়ার ছেলে মাহবুবুল আলম মাসুদ (৩৮), নগরীর চান্দগাঁও এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২৮)।

আদালতসূত্র জানায়, এ মামলায় ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইব্রাহীম খান আদালতে চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন এবং আদালত তা আমলে নিয়ে ২০১৬ সালের ২৪ মে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। এরপর আদালত ৮ সাক্ষীর মধ্য থেকে ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

সিভয়েস/এসএইচ


 

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়