Cvoice24.com

দক্ষিণ চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণায়
ছাত্রলীগ নিয়ে অপপ্রচার, নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ৬ মার্চ ২০২০
ছাত্রলীগ নিয়ে অপপ্রচার, নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ

ফাইল ছবি।

দীর্ঘ ২২ বছর পর জটলার অবসান ঘটিয়ে এস এম বোরহানকে সভাপতি ও আবু তাহেরকে সাধারণ সম্পাদক করে  দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। তারা দুজনই উক্ত কমিটিতে স্বাক্ষর করেন। তবে কমিটির অনুমোদন দিলেও কমিটি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। যার ফলে নেতা-কর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ

অভিযোগ উঠে, অযোগ্য, বিবাহিত এবং ছাত্রত্ব নেই এমন সদস্যদের নিয়ে কমিটি গঠিত হয়েছে। তবে তা অস্বীকার করলেন দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তারা বলেন, আমরা যাচাই বাছাই করার পর কমিটি দিয়েছি। তারপরেও যদি কোন সমস্যা থাকে তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

জানা গেছে, তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ছাত্রলীগের এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল মালেক চৌধুরী জনি হত্যার পর দীর্ঘ বাইশ বছর নাগাত এই কমিটি শুন্য ছিল এই ইউনিটটি। বাইশ বছর পর এবার দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন পায়। দীর্ঘদিনের জটলার অবসান ঘটিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হওয়ায় পুরো দক্ষিণ চট্টলার ছাত্রলীগের নেতা কর্মিদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। ছাত্রলীগ কর্মীরা বলছে, এই কমিটি সত্যিকার অর্থে ছাত্রলীগের কর্মীদের মাঝে প্রাণ সঞ্চার করেছে।

তথ্যমতে, ২০১৩ সালে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটতে গিয়ে প্রতিপক্ষের  আঘাতে হত্যার শিকার হন জনি। জনি হত্যার পর মূলত এস এম বোরহান এবং আবু তাহেরই এই ইউনিটটির হাল ধরেন। তাদের দিয়ে এই ইউনিটের আংশিক কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন। প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পড়ে লন্ডবন্ড দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ইউনিটকে তীরে টেনে এস এম বোরহান ও আবু তাহের।

পদ-পদবীর অসম বণ্টনের ব্যপারে জানতে চাইলে সাধারণ ছাত্রলীগ কর্মীরা বলেন, "কমিটিতে যারা এসেছে তারা সবাই রাজনীতিতে পরিক্ষিত। সৎ, ত্যাগী, পরিশ্রমী, কর্মঠ, সংগঠনের জন্য ডেডিকেটেড এবং পরিচ্ছন্ন ছাত্রদের দিয়েই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি হওয়ায় কর্মীরা রাজনীতির প্রতি উৎসাহিত হবে। সংগঠন মজবুত হবে।

ষড়যন্ত্রের ব্যপারে তারা বলেন, দেখুন আপনি যাই করেন না কেন বিরোধিতা থাকবে। কমিটির ক্ষেত্রেও তাই। এস এম বোরহান এবং আবু তাহের দুজনই তৃণমূল থেকে বেড়ে উঠা কর্মী। তারা দীর্ঘদিন ধরে সফলতার সাথে জেলা কমিটির (আংশিক) দায়িত্ব  পালন করেছেন। এখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন দায়িত্ব পালন করবেন। যারা এই পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিরোধিতা করছে তারা মূলত কর্মীদের জীবন নিয়ে খেলছে। বিরোধিতা করে কমিটি আটকানোর ষড়যন্ত্রে যারা লিপ্ত হয় তাদের সাধারণ কর্মীরা ঘৃণা করে। সবার এস এম বোরহান ও আবু তাহেরকে সাধুবাদ জানানো উচিৎ বলে আমরা মনে করি। কারণ তারা দীর্ঘ ২২ বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটির কেন্দ্র থেকে অনুমোদন করাতে পেরেছে। এটাই তাদের সফলতা এটাই তাদের ক্রেডিট। এতে করে বহু সাধারণ ছাত্রলীগ কর্মীর পরিচয় দেওয়ার একটা সুযোগ হয়েছে। সুতরাং, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম বোরহান ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের অগ্রযাত্রাকে রোধ করা যাবেনা।

ছাত্রলীগ কর্মীরা বলেন, মূলত যারা সাবেক ছাত্রলীগের আহবায়ক আব্দুল মালেক চৌধুরী জনি হত্যার সাথে জড়িত তারাই বর্তমান দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। কিন্তু তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না কারণ ছাত্রলীগের সর্বস্তরের কর্মীরা এস এম বোরহান ও আবু তাহেরের সাথে আছে।

দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের বলেন, ২২ বছর পর দীর্ঘদিনের অচলায়তন ও সেশনজট ভেঙ্গে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রতি ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা দিয়ে শেষ করা যাবে না। এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জনপদে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে, তৃণমূল ছাত্রলীগ অনেক বেশি উজ্জীবিত ও উৎফুল্ল। সবার প্রত্যাশা বোরহান তাহেরের নেতৃত্বে এই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ আরো বেশি গতিশীল ও সুসংগঠিত হবে।

অপপ্রচারের জবাবে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম বোরহান বলেন, আমরা মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে ষড়যন্ত্রকারীরা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগে ২২ বছর পর যে আনন্দ সৃষ্টি হয়েছে তা রোধ করতে চায়। কমিটিতে বিতর্কিত কেউ থাকলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।

-সিভয়েস/এমআইএম/এসসি

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়