Cvoice24.com


দিল্লির সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
দিল্লির সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২

ফাইল ছবি।

দিল্লিতে ব্যাপক সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত রোববার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। 

সহিংসতার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন ২০০ জন। 

বুধবার ভারতের জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভাল নয়াদিল্লির সহিংসতাপূর্ণ এলাকায় পরিদর্শন করার কয়েক ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় ভজনপুরা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। তবে দিল্লি পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা সহিংসতার অভিযোগে ১৮টি এফআইআর দাখিল করেছে এবং ১০৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে কয়েকদিনের সংঘর্ষে উত্তর-পূর্ব দিল্লির এলাকাগুলোর অনেক বাড়িঘর-দোকানপাটে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। ধর্মীয় নাশকতার এই আগুন থেকে বাদ পড়েনি মসজিদ-মাজারও। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় বাড়িঘর ছাড়ছে আতঙ্কিত মানুষজন। 

দিল্লিতে কারফিউ জারি করা হলেও থামানো যাচ্ছে না সংঘাত। পুলিশের গুলির ভয় উপেক্ষা করেই ভোর সাড়ে ৪টা থেকে নতুন করে পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হয় উত্তর-পূর্বের ব্রহ্মপুরী-মুস্তাফাবাদ এলাকায়। এ সময় গোকুলপুরীতে একটি পুরনো জিনিসপত্রের দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। 

পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশের পাশাপাশি সিআরপিএফ, এসএসবি, সিআইএসএফ এবং পুলিশের যৌথ বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। সীলামপুর, জাফরাবাদ, মৌজপুর, গোকুলপুরীতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। 

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অশান্ত এলাকা ঘুরে দেখবেন বলে জানানো হয়েছে। তিনি গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘দিল্লির কাছে এখন দুটো অপশন রয়েছে। হয় মানুষ একজোট হয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করুক। অথবা একে অপরকে আঘাত করে হত্যা করুক।’ 

তবে বুধবার রাতের পর থেকে আর নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে সহিংসতার স্থানগুলোয় বিপুল পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে আধা সামরিক বাহিনী। এরই মধ্যে সহিংসতা দমনে ব্যর্থ হওয়ায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিরোধী দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়া গান্ধী পুরো সহিংসতার জন্য অমিত শাহকে দায়ী করেন। 

অন্যদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাশাপাশি তিনি সেনাবাহিনী মোতায়েনেরও দাবি জানিয়েছেন। -সূত্র: এনডিটিভি

-সিভয়েস/এমআই/এমএম

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়