২০২১’র বইমেলা আয়োজনেও সর্বাত্নক সহযোগিতার প্রত্যাশা দিলেন মেয়র নাছির
আগামী বছর ২০২১ সালের অমর একুশে বইমেলা আয়োজনেও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি মেলার ভেন্যুর ব্যয় সাশ্রয়ে ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায় একুশে সম্মাননা পদক ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন।
মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ছিল এখানে ঢাকার মত বৃহৎ পরিসরে বই মেলা অনুষ্ঠিত হয় না। সেই আক্ষেপ দূরীকরণে নানা প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ব্যানারে চট্টগ্রামে একটি সম্মিলিত বই মেলা আয়োজন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বই সংশ্লিষ্ট সকলকে একত্রিত করে সর্বজন গ্রাহ্য সম্মিলিত বই মেলার আয়োজন করি। বিগত সময়ের মেলার সীমাবদ্ধতা ত্রুটি বিচার বিশ্লেষণ করে এবারের মেলাকে নতুন আঙ্গিকে নতুন কলেবরে সাজানো হয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এই সার্থক বই মেলা আয়োজনে অন্যতম সহায়ক ছিল চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। জাতীয় মানের একটি মেলা আয়োজন করতে হলে প্রধান অবলম্বন হচ্ছে ভেন্যু। ভেন্যু সংকট দূরীকরণে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার অনুশীলন মাঠটি দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। আমি চাই এই মেলা যেন থমকে না যায়। নতুন মেয়রের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যাতে আরো বৃহৎ পরিসরে একুশে বইমেলা আয়োজন করে এ প্রত্যাশা করি।
এবারের অমর একুশে বইমেলায় ১৫ কৃতিজন পেয়েছেন একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কার। জাতীয় জীবনে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১১ কৃতিজন ও ৪ সাহিত্যজনকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন এই সম্মাননা প্রদান করেন।
অমর একুশে বই মেলা মঞ্চে অনুষ্ঠিত সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত জীবিত সমাজ তারকারাসহ প্রয়াতদের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিতিতে ভাষা আন্দোলন সংগঠক হিসেবে আবু তালেব চৌধুরী (মরণোত্তর), শিক্ষায় প্রিন্সিপাল এ এফ এম মোজাফফর আহমেদ (মরণোত্তর), চিকিৎসা সেবায় প্রফেসর সৈয়দা নূর জাহান ভূঁইয়া (মরণোত্তর), স্বাধীনতা আন্দোলনে ভূমিকা রাখার জন্য শহীদ হারুনুর রশীদ (মরণোত্তর), মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় মোহাম্মদ হারিছ, সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় আখতারুন্নবী (মরণোত্তর), সংগঠক হিসেবে প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সহসভাপতি সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সিরাজ উদ্দিন মো আলমগীর, সংগীতে ওস্তাদ স্বপন কুমার দাশ, সমাজসেবায় অবদান রাখায় সামাজিক সংগঠন সন্ধানী (সিএমসিইউ) এবং সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদান রাখায় অনুবাদক ক্যাটাগরীতে কথা সাহিত্যিক ড. মাহমুদ উল আলম, প্রবন্ধ গবেষণায় অধ্যাপক নুরুল আমিন, কবিতা ক্যাটাগরিতে সাংবাদিক ওমর কায়সার, শিশু সাহিত্যে আকতার হোসাইন একুশে স্মারক সম্মাননা পেয়েছেন।
চসিক প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা মো সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত কৃতিজন ও পরিবার সদস্যরা স্ব স্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
-সিভয়েস/ইউডি/এমআই/এমএম
সিভয়েস প্রতিবেদক