Cvoice24.com


শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ০১:৪৮, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে মানুষের ঢল

ছবি: সিভয়েস

যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানাতে প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নামে মানুষের ঢল। এরপর ভোর থেকে আবারও শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন।
 
দেখা যায়, একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টার আগে থেকেই পুষ্পস্তবক নিয়ে মানুষ আসা শুরু করে। নারী-পুরুষ, শিশু, শ্রেণি-পেশা, রাজনীতি ছিল না কোনো ভেদাভেদ। সবাই সারি বেঁধে গিয়েছিলেন শহিদ মিনারে। কারও কণ্ঠে একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…’। আবার কারও কণ্ঠে স্লোগান, কারও হাতে ব্যানার, কেউ বা নিয়েছিলেন লাল-সবুজের পতাকা, ভাষার জন্য আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে পতাকা পেয়েছে বাঙালি। রাত ১২টা এক মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহানগর পুলিশের একটি দল বিউগলের সুর ও সশস্ত্র সালাম জানায় বীর শহীদদের।

এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভাষা শহীদদের।

এরপর মহানগর আওয়ামী লীগ ও আসন্ন চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। তারপর চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, রেঞ্জ পুলিশ, জেলা পুলিশ, এরপর মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, টুরিস্ট পুলিশ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পিবিআই, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, শিল্প পুলিশ, নৌ পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর, সিভিল সার্জন চট্টগ্রাম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, আনসার, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র, মহানগর যুবলীগ, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় শহীদ মিনারে।

শুক্রবার ভোর শুরুর আগ থেকেই আবারো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের আনাগোণা শুরু হয়। এক পর্যায়ে প্রভাতফেরির দীর্ঘ সারি শহীদ মিনারের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা ছাড়িয়ে যায়। ভাষার জন্য জীবনদানের দিনটি পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।

এদিকে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি কবিতা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে বন্দরনগরীতে মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে।

-সিভয়েস/এমআই/এমএম

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়