Cvoice24.com


দিনদুপুরে ফুটপাতেই ‘চোরাই মার্কেট’, নীরব প্রশাসন

প্রকাশিত: ১২:২৪, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০
দিনদুপুরে ফুটপাতেই ‘চোরাই মার্কেট’, নীরব প্রশাসন

ছবি: সিভয়েস

নগরের পুরাতন এবং নতুন রেল স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে চোরাই মোবাইল মার্কেট । ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করতে প্রশাসন নানা সময়ে অভিযান পরিচালনা করলেও ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে চোরাই মোবাইলের অবৈধ এসব দোকানপাট। সম্প্রতি কোতোয়ালী থানা পুলিশের নানা ধরনের উদ্যোগে অপরাধ কমে আসলেও ‘চোরাই মার্কেট’ নিয়ে তারাও অনেকটা নিশ্চুপ।

জানা যায়, নগরীর চোরাই মার্কেটগুলো শক্তিশালী সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চোর ও ছিনতাইকারী চক্র নগরী এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি ছিনতাই করে দালালদের মাধ্যমে এ সকল মার্কেটে চোরাই পণ্য সরবরাহ করে চলেছে। দিন-দুপুরে প্রশাসনের চোখের সামনেই অনেকটা ‘ফিল্মী কায়দায়’ এসব চোরাই বাজারে চলে বেচাকেনা । আগে মোবাইল নগরীর বা আশেপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসলেও এখন প্রশাসনের বিভিন্ন নজরদারির কারণে রুট চেঞ্জ হয়ে চট্টগ্রামের মোবাইল ঢাকা আর ঢাকার মোবাইল চট্টগ্রামে বা অন্যান্য শহরে যাচ্ছে। এতে করে চোরাই কারবারীদের মোবাইল বিক্রি করতে অনেকটা সুবিধা হচ্ছে এবং প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতেও সুবিধা হচ্ছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব ভ্রাম্যমাণ চোরাই দোকানে ঠাঁই পেয়েছে চায়না মোবাইল থেকে শুরু করে লাখ টাকার আইফোন। শুধু মোবাইল নয়, একটু অপেক্ষা আর বিক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে পারলেই চাহিদা ভেদে মিলে বাহারি মডেলের ল্যাপটপসহ নানান দামি ইলেকট্রনিক্স জিনিস । তবে এসব চোরাই দোকানির বেশির ভাগ ক্রেতাই নিম্ন আয়ের মানুষ বলে জানা যায়।                                                             

চোরাই মার্কেট থেকে মোবাইল কিনতে আসা শ্রমিক মনির হোসেন সিভয়েসকে বলেন, সস্তার জন্য ঝুঁকি আছে জেনেও চোরাই মার্কেট থেকে মোবাইল নিয়েছি। শো রুমের চেয়ে অনেক কম দামে এখানে মোবাইল পাওয়া যায়। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চোরাই মোবাইল মার্কেটের এক বিক্রেতা সিভয়েসকে বলেন, ‘চাঁদা দিয়েই আমরা দোকান চালাই। বড় থেকে ছোট সব মহাশয়কে ম্যানেজ করতে পেরেছি বলেই এতদিন ধরে চোরাই সেটের ব্যবসা করে আসছি।’

রিয়াজউদ্দিন বাজারের মোবাইল ব্যবসায়ী অনিক সিভয়েসকে বলেন, চোরাই মার্কেটের জন্য আমাদের ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হয়। চোরা মোবাইলগুলো রিয়াজউদ্দিন বাজার, শাহ আমানত মার্কেটের কিছু দোকানে ‘আইএমইআই’ চেঞ্জ করে চোরাই মার্কেটে তোলা হয়। চুরির মাল নিয়ে মাঝে মধ্যে অভিযান চালানো হলেও অভিযানগুলোর বেশির ভাগই লোক দেখানো। অভিযানের পর দিন-কয়েক সাবধানে চলে ব্যবসা। তারপর আবার শুরু হয় পুরোদমে। এতে করে প্রশাসনের নজর দারি আরো বাড়ানো দরকার। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন সিভয়েসকে বলেন, অবৈধ কোন মার্কেট নেই। এইটা নামে আছে, আমাদের অভিযান চলমান আছে। পুলিশ এবং র‍্যাব নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে । 

আইন বিশেষজ্ঞ এডভোকেট প্রাণেশ দত্ত সিভয়েসকে বলেন, রেল স্টেশন এলাকায় চোরাই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। প্রসাশন চাইলে আইন প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নিতে পারেন। 

তিনি আরো বলেন, চোরাই মার্কেটগুলো বন্ধ হলে চুরি চিনতাই অনেকটা কমে যাবে। এতে করে চুরি করার পর বিক্রয়ের সুযোগ থাকবেনা।

সিভয়েস/এসএএস

তাপস বড়ুয়া

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়