Cvoice24.com


ইয়াবা সেবনে কক্সবাজারে দুই বন্ধুর মৃত্যু

প্রকাশিত: ১৬:৩৩, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ইয়াবা সেবনে কক্সবাজারে দুই বন্ধুর মৃত্যু

কক্সবাজারে বেড়াতে এসে অতিরিক্ত ইয়াবা সেবন করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আবির রহমান রুমি (২৪) ও মোহাম্মদ আরিফিন (২৫) নামে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার পৃথকভাবে দুই বন্ধুর মৃত্যুর হয়। এদের মধ্যে আবির কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ও আরিফিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।

সূত্র জানায়, ৩১ জানুয়ারি তারা ৪ বন্ধু কক্সবাজারে বেড়াতে এসে পর্যটন এলাকার লং বিচ হোটেলে ওঠে। এই হোটেলেই ইয়াবা সেবন করে ৪ বন্ধু। পরে তাদের অবস্থা খারাপ হলে ২ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আবির।

পরে গুরুতর অবস্থায় আরিফিনকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

আবির ঢাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও আরিফিন ঢাকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আবিরের বাড়ি ঢাকার মালিবাগে চৌধুরী পাড়ায় ও আরিফিনের বাসা ঢাকার পুরান ঢাকায়।

নিহত আবির রহমান ও আরিফিনের বন্ধু মুনতাসির তাহামিদ নিসর্গ দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

মুনতাসির তাহামিদ নিসর্গ বলেন, তার ৪ বন্ধু মিলে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার হোটেল লং বিচের ৩০১৪ নাম্বার রুমে উঠে। শনিবার সকালে আবির ও আরিফিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। আবির বেশি অসুস্থ হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। আরিফিন কম অসুস্থ থাকায় তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। রোববার সকালে আরিফিন ঢাকায় ও একই দিন দুপুরে আবির কক্সবাজারে মারা যায়।

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোববার সকালে মুনতাসির তাহামিদ নিসর্গ নামের এক ব্যক্তি তার বন্ধু আবির রহমান রুমিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনের কারণে রোগীর শরীরে বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাসুম খান জানান, আবির ও আরিফিন কয়েক বন্ধু কক্সবাজারে বেড়াতে আসে হোটেল লং বিচে উঠে। ইয়াবা সেবনে আবির ও আরিফিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। আরিফিন ঢাকায় চলে গেলেও আবিরের অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে ঢাকায় নেয়া সম্ভব হয়নি।

তিনি জানান, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবির মারা যায়। আবিরের বাবা মিজানুর রহমান বিনা ময়নাতদন্তের লাশ দাফনের অনুমতি চেয়ে কক্সবাজার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বরাবর আবেদন করে। পিতার আবেদনের প্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে লাশ গত রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়