Cvoice24.com

রাষ্ট্রদূত নুরুল আলম চৌধুরীর স্মরণ সভায় তথ্যমন্ত্রী
‘সুবিধাবাদীদের সমন্বয়ে গঠিত রাজনৈতিক দলের নাম বিএনপি’

প্রকাশিত: ১২:০৭, ৩০ জানুয়ারি ২০২০
‘সুবিধাবাদীদের সমন্বয়ে গঠিত রাজনৈতিক দলের নাম বিএনপি’

বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

‌‘রাজনীতিতে সুবিধাবাদীদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি ক্ষমতা দখল করার জন্য রাজনীতিবিদদের কেনাবেচার হাট বসিয়েছিলেন। মৌসুমে যেমন খেলোয়াড় বিক্রি হয়, ঠিক সেইভাবে অনেক রাজনীতিবিদ বিক্রি হয়েছিল। সেইভাবে গঠিত হয়েছিল বিএনপি। সুবিধাবাদীদের সমন্বয়ে গঠিত রাজনৈতিক দলের নাম বিএনপি।’

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে এলজিইডি ভবনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি সাবেক সাংসদ ও রাষ্ট্রদূত নুরুল আলম চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

সরকারি ও বিরোধী দলে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির এ দেশে রাজনীতি করা সমীচীন নয়। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে ক্ষমতায়ও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে থাকতে হবে, বিরোধী দলও স্বাধীনতার পক্ষের হওয়া বাঞ্চনীয়।’

আওয়ামী লীগকে সুবিধাবাদীমুক্ত করার প্রয়োজন তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগের মধ্যে অনেকের আলস্য এসেছে। দলে অনেক অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। অনুপ্রবেশকারীদেরও চিহ্নিত করে দলকে পরিশুদ্ধ করা প্রয়োজন। অনুপ্রবেশকারী, সুবিধাবাদীরা যাতে দলকে গিলে ফেলতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাবাদীমুক্ত আওয়ামী লীগ গঠন করতে হবে।’

রাজনীতিক নুরুল আলমের স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগের অনেকে যখন আত্মগোপনে অথবা ভয়ে মুখ খুলছে না, অনেকে মোস্তাকের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, তখন মোস্তাকের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করেছিলেন নুরুল আলম চৌধুরী। তিনি কখনো দলের বিরুদ্ধে, নেতার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাননি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দলের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা গেছে, যখনই দল বিপদের মুখে পড়েছে, অনেকেই বোল পাল্টিয়েছে। অনেকে নেতার বিরুদ্ধচারণ করেছে। ২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন গ্রেপ্তার হন তখন অনেক নেতা বোল পাল্টিয়েছে। অনেক নেতা ভয়ে মুখ খোলেনি। অনেক নেতা তখন ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কিন্তু নুরুল আলম চৌধুরী সেই কাজটি করেননি। তাই নুরুল আলম চৌধুরীর জীবন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি প্রমুখ।

সিভয়েস/এসবি/এসএএস

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়