Cvoice24.com

চট্টগ্রামে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

সময় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড


শিশুবান্ধব ‘খাস্রাং রিসোর্ট’, থাকছে সুইমিংপুলে সাঁতারের সুযোগ

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ২৮ জানুয়ারি ২০২০
শিশুবান্ধব ‘খাস্রাং রিসোর্ট’, থাকছে সুইমিংপুলে সাঁতারের সুযোগ

ছবি : সিভয়েস

আলুটিলা পর্যটন-রহস্যময় গুহা এবং তেরাংতৈবাকলাই (রিছাং ঝরণা) সংলগ্ন খাস্রাং রিসোর্ট অবস্থানগত কারণে মাত্র একমাসের মধ্যেই লাভ করেছে বিপুল জনপ্রিয়তা। ভৌগলিক-নিসর্গ আর জন বৈচিত্র্যের জনপদ খাগড়াছড়িতে দ্রুতগতিতে বাড়ছে পর্যটন সম্ভাবনা। বেসরকারি পর্যটন কেন্দ্রের শূন্যতা পূরণে এবং জেলার উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে মাঠে নেমেছেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা নিজেই। আলুটিলায় তাঁর নিজ মালিকানার ১০ একর পাহাড়ি টিলাভূমিতে তিনি গড়ে তুলেছেন সর্বোচ্চ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত পর্যটন কেন্দ্র ‘খাস্রাং রিসোর্ট’। ত্রিপুরা জাতিসত্তার ভাষার ‘খাস্রাং’-এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো মনের প্রশান্তি।

পর্যটন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ নিয়ে এখানকার উদ্যোক্তাদের মধ্যে দীর্ঘসময় একটা সংশয় ছিলো বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর সহ-সভাপতি ও দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মো: কাশেম। বিনিয়োগের পরিমাণ অনুযায়ী প্রত্যাশিত ভোক্তা পাওয়া- না পাওয়ার দোদুল্যমানতা ছিলো। কিন্তু সংসদ সদস্যের দেখানো পথ ধরে এখন জেলায় পর্যটন খাতে বিনিয়োগের একটা চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সুউচ্চ আলুটিলা পাহাড় চূড়ার ‘খাস্রাং’-এ গেলে চোখে পড়বে নির্মল মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ। এর মাঝে গড়ে উঠা এই বিনোদন কেন্দ্রে রয়েছে পর্যটকদের জন্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা। নানা রঙের বাহারি ফুল-পাতা আর পরিকল্পিত আলোকায়ন আর নান্দনিক কটেজ। পূর্ব-উত্তর দিকে চোখের সীমানায় দেখা যাবে পুরো খাগড়াছড়ি সর্পিল চেঙ্গী পাড়ের খাগড়াছড়ি শহর। অনেকটা পাখির চোখে দেখার মতো হয়ে সন্ধ্যায় মনে হবে এ এক নয়া দার্জিলিং। আর পশ্চিমে যতদূর চোখ যাবে, চোখের সীমানাজুড়ে পাহাড় আর পাহাড়। সন্ধ্যায় দেখতে পাবেন ভারতীয় সীমান্তের উচ্চ আলোর হেলোজেন বাতির মিছিল। যা সত্যিই ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য অন্য এক প্রশান্তির জায়গা। পাহাড়ের বুক চিড়ে রয়েছে পাথর এবং সবুজ পাহাড়ের গাছ-গাছালিতে পাখির কল -কাকলি।

‘খাস্রাং’ ভবিষ্যতে শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে জানিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যেহেতু এখানে সোনামনিদের বিনোদনের জন্য শিশুবান্ধব বিভিন্ন স্থাপনা ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। তাছাড়া শিশুরা  খেলাধুলার পাশাপাশি পাবে পাহাড় চূড়ায় সৃজিত সুইমিং পুলে সাঁতার শেখার সুযোগ।

সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এই প্রতিনিধিকে বলেছেন, ‘পর্যটকদের চিত্তবিনোদনের জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্পটের পাশাপাশি খাস্রাং রিসোর্ট আলাদা মাত্রা যোগ করবে এবং পর্যটন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

‘খাস্রাং’ রিসোর্ট ও বিনোদন কেন্দ্রে রয়েছে অসংখ্য সুদৃশ্য কটেজ  প্রতিটিতে গড়ে ৮/১০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আছে একটি হলরুম, যেখানে ১০০ জনের সভা-সেমিনার ও অনুষ্ঠান করা যাবে। রিসোর্টে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক রাখা হয়েছে যেখানে পর্যটকরা ভাড়ায় এগুলো পরে ছবি তোলার পাশাপাশি পাহাড়ি জনজীবনের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। পর্যটকদের রাতে থাকার জন্য তৈরি হচ্ছে একটি হোটেল।

পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, আলুটিলায়  সরকারিভাবে শীঘ্রই কেবল কার স্থাপনের কাজ শুরু হবে। একারণে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে  ব্যাক্তিগত উদ্যোগে আরো নতুন নতুন রিসোর্ট স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খাগড়াছড়ির রিচাং ঝর্ণা, মাইয়ুংকপাল পাহাড়, ও  ভাইবোন ছড়ার মায়াবিনী লেকটিকে ঘিরেও উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বেশ বেড়েছে।

-সিভয়েস/এসসি

প্রদীপ চৌধুরী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়