Cvoice24.com


আলীকদমে চলছে পাথর ও বনখেকোদের রামরাজত্ব

প্রকাশিত: ১০:৩১, ২৭ জানুয়ারি ২০২০
আলীকদমে চলছে পাথর ও বনখেকোদের রামরাজত্ব

ছবি : সিভয়েস

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার চিনারী বাজার ভিতর দিয়ে বান্দর ঝিরির আগা, লামা খালের আগা ও মাংগু মৌজার শেষ সীমানার বিস্তিৃর্ণ বনভূমিতে চলছে পাথর ও বনখেকোদের রামরাজত্ব। চিনার বাজার এলাকায় পাহাড় কেটে সড়ক নির্মাণ করে অবৈধভাবে কাঠ, লাকড়ি ও পাথর পাচার হচ্ছে দেখেও নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন।

দীর্ঘদিন ধরে আলীকদমে বৃক্ষনিধনকারীদের দাপটে পাহাড়গুলো বৃক্ষ ও পাথরশুণ্য হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মন লাকড়ি, কাঠ ও পাথর টিএস গাড়িতে করে পাচার হচ্ছে এসব পাহাড় থেকে। অথচ সরকারও পাচ্ছেনা কোনো রাজস্ব।

একসময় এসব এলাকায় বনভূমির বিস্তার ছিল আমাজনের আদলে। কিন্তু কতিপয় কাঠ ও পাথর ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে উজাড় করে আসছে এসব বনাঞ্চল ও পাথর। ছাড় দেয়া হচ্ছে না শত বছরের পুরাতন বৃক্ষগুলোকেও। দেদারছে কাটা হচ্ছে কাঠ। প্রাকৃতিক বনজ সম্পদ নষ্ট করে পাহাড় পর পাহাড় কেটে সড়ক নির্মাণ করে পাচার করা হচ্ছে কাঠ। একইসাথে পাহাড় কেটে ও মাটি খুঁড়ে তুলে নেয়া হচ্ছে পাথর।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, আলীকদম উপজেলার ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড চিনারী বাজার এলাকার বান্দর ঝিরি হয়ে বড় বড় পাহার কেটে সড়ক নির্মাণ করে কিছু অসাধু গাছ ও লাকড়ি ব্যবসায়ীরা। বান্দর ঝিরি, কাইরি ম্রো পাড়া, ত্রিপুরা পাড়া হয়ে, বলামা খালের আগা, মাংগু মৌজার শেষ সীমানায় বিভিন্ন এলাকার অজস্র পাহাড় থেকে গাছ কেটে স্তুপ করে রেখেছে গাছ পাচারকারি এসব সিন্ডিকেট।

মুষ্টিমেয় কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে পকেটস্থ করে অবাদে বন নিধন করে আসছে এসব বনখেকোরা। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এ পাহাড় থেকে ও-পাহাড়ে। কয়েকজন ত্রিপুরা ও ম্রোদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসব কাঠ ও পাথর জনৈক মো. সজিব কামাল, মো. ইয়াসিন, মো. বাতেন মাষ্টার, রোকন মাষ্টার, মো. লিটন সহ অনেকেই আছে যারা পাহাড় থেকে এসব গাছ নিধন করে আসছে।

একজন সচেতন ম্রো কার্বারি জানান, কাঠ পাচারকারিরা কাউকে তোয়াক্কা না করে প্রকৃতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। স্থানীয়রা পরিবেশ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। সেই সাথে বিষয়গুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য সংবাদ কর্মীদের অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে জানতে লামা বনবিভাগের অধিনস্ত তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা শামসুল হুদার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও কোনো উত্তর মেলেনি।

আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদ ইকবাল জানান, দ্রুত কাঠ ও পাথর ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

-সিভয়েস/এসসি

লামা প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়