Cvoice24.com

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নওফেল
‘তোমাদের বয়সে আমরা আত্মীয়-স্বজনের বই ব্যবহার করতাম’

প্রকাশিত: ১৩:৪৯, ২৫ জানুয়ারি ২০২০
‘তোমাদের বয়সে আমরা আত্মীয়-স্বজনের বই ব্যবহার করতাম’

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, তোমাদের বয়সে আমরা যখন স্কুলে পড়তাম। তখন আমরা আমাদের বড় ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনের বই ব্যবহার করতাম। সঠিক সময়ে আমরা বইখাতা পর্যন্ত পেতাম না। এখন বছরের প্রথমদিন শেখ হাসিনার কারণে সারাদেশে ৩৫ কোটি বই আমরা পাই। এটা তখন আমরা চিন্তাও করতে পারিনি। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ১০টি দোতলা বাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, আমরা স্কুলে কম্পিউটার দেখিনি। চোখে দেখা তো দুরের কথা, সেটা কখনো চিন্তাও করতে পারিনি। এখন প্রাইমারি স্কুলে পর্যন্ত কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ইন্টারনেট এসেছে। যতই আমরা পাচ্ছি, ততই শেখ হাসিনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা বেড়ে যাচ্ছে, এই প্রত্যাশার অংশ হিসেবে তোমরা চেয়েছ বাস। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাতৃস্নেহে তোমাদের জন্য উপহারটা পাঠিয়েছেন। 

দূরত্ব যতই হোক ভাড়া ৫ টাকা, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, তোমরা নিজেদের দায়িত্বে তোমাদের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করবে। এই বাস তোমাদের সম্পদ। তোমরা অবশ্যই বাস ব্যবহারের যে নিয়মকানুন করা হয়েছে, সেগুলো পালন করবে। স্কুলের ইউনিফর্ম পরে বাসে উঠতে হবে। পাঁচ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, সততার সাথে সবাই সেটা দেবে। কারণ, তোমরাও একদিন মন্ত্রী-এমপি-বিচারক-জেলা প্রশাসক হবে, সেদিন যাতে তোমরা সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পার, এই শিক্ষাটা স্কুল থেকে নিতে হবে।

সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপনে কোনো লজ্জা নেই এ মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ থেকে পাস করে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে, বড় পদে যেতে হবে, এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পড়ালেখা শেখার পরও সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপনে কোনো লজ্জা নেই। কোনো পেশাকে ছোট করে দেখা যাবেনা। আমরা যারা বিদেশে পড়ালেখা করেছি, দিনে তিনটা চাকরি করতে হতো। সেই আয়ে পড়ালেখা করতে হতো। আমরা কেউ রেস্টুরেন্টে বার্গার বানিয়েছি, কেউ বা সিকিউরিটির কাজ করেছে, এতে কোনো লজ্জা নেই। পড়ালেখা করে একজন বাসচালক হওয়া, একটা কৃষিখামার করা, মাছ চাষ করা- এসব করা যাবে না, এমন চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যা করলে আমি আমার জীবনকে সাজাতে পারব, সেটাই আমার করা উচিত।

তিনি আরো বলেন, এই বাংলাদেশ আমরা মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য পেয়েছি। কিছুদিন পরেই এ মহান নেতার জন্মশতবর্ষ শুরু হচ্ছে। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতৃস্নেহে চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ১০টি বাস উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন। সেই উপহার আমি তোমাদের কাছে পৌঁছে দিয়ে গেলাম।

প্রসঙ্গত, নিরাপদ সড়ক চেয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে ১০টি দ্বিতল বাস পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব বাস শুধু চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনা-নেওয়া করবে।রোববার থেকে নগরীতে বাসগুলো চলাচল করবে।

-সিভয়েস/এমএম

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়