Cvoice24.com


চট্টগ্রামে গণহত্যা মামলা ৩২ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি, যুক্তিতর্ক শুরু আজ

প্রকাশিত: ০১:৫২, ১৯ জানুয়ারি ২০২০
চট্টগ্রামে গণহত্যা মামলা ৩২ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি, যুক্তিতর্ক শুরু আজ

বহুল আলোচিত চট্টগ্রামের গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তি হয়নি ৩২ বছরেও। তবে শেষ পর্যন্ত মামলাটির যুক্তিতর্ক শুরু হচ্ছে আজ।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে আজ সকালে ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় বিশেষ বিচারক মো. ইসমাইল হোসেনের উপস্থিতিতে এ যুক্তিতর্ক শুরু হবে।

ইতোপূর্বে চাঞ্চল্যকর এ মামলায় সাবেক মন্ত্রী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ এখন পর্যন্ত মোট ৫৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ৫৩ নাম্বার সাক্ষী হিসেবে গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) অ্যাডভোকেট শম্ভুনাথ নন্দী সর্বশেষ সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আগামি ২৪ জানুয়ারির মধ্যেই রায় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন এ বিশেষ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি নগরের লালদীঘি ময়দানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ মামলায় সাবেক মন্ত্রী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ এখন পর্যন্ত মোট ৫৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মোট ১৬৮ জন সাক্ষী ছিল। আমরা ৫৩ জনের পর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করার আবেদন করি আদালতে।’

তিনি আরো বলেন, ‘৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষাও শেষ হয়েছে। এবার রাষ্ট্রপক্ষে ও আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক হবে। এরপর রায় ঘোষণা করা হবে। আশা করছি, সামনের ২৪ জানুয়ারির মধ্যেই রায় হয়ে যাবে।’

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বিকালে লালদীঘি ময়দানে সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সমাবেশে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহর লক্ষ্য করে গুলি করে পুলিশ। শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা যান ২৪ জন নেতাকর্মী। 

এ ঘটনায় ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী মো. শহীদুল হুদা বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলাটি পুনরুজ্জীবীত হয়। আদালতের আদেশে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি প্রথম এবং অধিকতর তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাসহ আট পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।

এ মামলার অন্যান আসামিরা হলো  কোতোয়ালী জোনের পেট্রোল ইন্সপেক্টর (পিআই) জে সি মণ্ডল, কনস্টেবল আব্দুস সালাম, মুশফিকুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, বশির উদ্দিন, মো. আবদুল্লাহ ও মমতাজ উদ্দিন।

২০০০ সালের ৯ মে তারিখে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত।

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদীঘির ঘটনায় নিহতরা হলেন- মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথলেবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, সমর দত্ত, হাসেম মিয়া, মো. কাসেম, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও শাহাদাত।

শুভ্রজিৎ বড়ুয়া

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়