সাতকানিয়ায় গৃহবধূ সুমি হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেফতার

সাতকানিয়ায় আলোচিত গৃহবধূ তছনুর আক্তার সুমি আক্তার হত্যা মামলায় স্বামী রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোররাতে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার দক্ষিণ গারাংগিয়া হাতিয়ারপুল কেরানী পাড়া এলাকার নুরুল আলম ওরফে নুরু সওদাগরের ছেলে। 

সাতকানিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে সিএনজি অটোরিক্সা চালক রবিউল ইসলাম বিগত সালের  ১২ ফেব্রæয়ারী নিজ স্ত্রী তছনুর আক্তার সুমি(২০) কে ঘুমন্ত অবস্থায় বিকাল ৩টার সময় গায়ে অকটেন ঢেলে আগুন দেন। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে সুমিকে তার পরিবারের সদস্যরা প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা বারডেম হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করেন।  ওখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই মাসের ১৭ তারিখ রাত আড়াইটার সময় সুমি মারা যান। এ ব্যাপারে তছনুর আক্তার সুমির ছোট ভাই রিয়াদ হোসেন বাদী হয়ে স্বামী রবিউল ইসলামকে আসামী করে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা (মামলা নং-১১ তারিখ-১২/২/১৯ইং) দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে রবিউল আত্মগোপন করে আছেন। গতকাল ১৮ জানুয়ারী শনিবার ভোর ৪টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম লোহাগাড়া উপজেলা চুনতি ফকিরা মুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বোনের বাড়ি থেকে রবিউলকে গ্রেফতার করেন। 

এ ব্যাপারে নিহত সুমির মা জেসমিন আক্তার বলেন, আমার মেয়েকে নির্মমভাবে আগুন দিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ খুনির বিচার চাই। 

যোগাযোগ করা হলে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,  আসামী রবিউল ঘটনার পর আত্মগোপন করে আছেন। বহু কষ্ট আর সাধনার পর আজ ভোর ৪টায় লোহাগাড়া উপজেলা ফকিরামুড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সিভয়েস/জেএইচ