সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সবসময়ই আপোষহীন
ছবি : সিভয়েস
মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সবসময়ই আপোষহীন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনায় দায়িত্ব নিয়ে তাঁর সরকার ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে রায় কার্যকর করেছে; বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করে। আমাদেরকেও বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও লালিত স্বপ্ন বাস্তয়ানের দ্রুব নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। শেখ হাসিনা দূরদর্শি নেতৃত্বের জন্য দেশের প্রতিটা ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। এখন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সরকার বদ্ধ পরিকর। শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিরত সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা। বাংলাদেশ পেয়েছে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা। শেখ হাসিনার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে আর্থ-সামাজিক খাতে দেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার আজ দেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সামনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মধ্য আয়ের দেশের তালিকায় স্থান করে নিবে।
শনিবার রাউজানে নোয়াজিষপুর অদুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নব-নির্মিত ১৫ নম্বর নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স শুভ উদ্বোধন-মিলন মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জাতির জনককে এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করছে বলে নয় মাসে দেশ স্বাধীন হয়েছে। খাদ্য খাটতি, বিদ্যুৎ সংকট দূর হয়েছে। রাষ্ট্র যখন সফল হবে তখন যখন রাষ্ট্রের নিজ নিজ অধিকারর থেকে বঞ্চিত হবেন না। এ ক্ষেত্রে নেতৃত্বে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় প্রায় ২ হাজার ডলার। শিল্পয়ন ও ঘরের বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মানও বেড়েছে।
বঙ্গবন্ধু পাঠাগার করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান দেয়া হবে। ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি ওয়ার্ডে অফিস করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতা করা হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হক বাবুলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিশু পার্কের জায়গায় এবং অবকাঠামো তৈরি করে দেয়া হবে বলেন মন্ত্রী।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে রাউজান উপজেলার চেয়ারম্যান এহসানুল হক বাবুল, স্থানীয় সরকার প্রকৌকলী অধিদপ্তর প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর চন্দ্র আচা, স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগ উপ-পরিচালক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
-সিভয়েস/এমআই/এসসি
সিভয়েস প্রতিবেদক