Cvoice24.com


নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটক

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটক

নতুন বছরকে (২০২০) স্বাগত জানাতে ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড়। ছবি/ সিভয়েস

আজকের সূর্যাস্তের মধ্যদিয়েই বিদায় হবে ২০১৯ আর শুরু হবে ২০২০ সাল। নতুন বছরকে (২০২০) স্বাগত জানাতে ভ্রমণ পিপাসুদের পছন্দের স্থান বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এখন লাখো পর্যটকের ভিড় জমেছে। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস আর কটেজ গুলো বুকিং হয়ে গেছে। এদিকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে পর্যটকদের ভ্রমনের স্থান

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাবনী, সুগন্ধ্যা ও কলাতলী পয়েন্টে সহ সমুদ্র সৈকতের প্রায় সব পয়েন্ট‘ই পর্যটকদের ভিড়। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও ইনানীর পাথুরে সৈকত, পর্যটনস্পট দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরও পর্যটকে মুখরিত।

আগত পর্যটকদের রাত্রীযাপনে শহরের ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস আর কটেজ গুলোতে পর্যটকে পরিপূর্ণ। স্টার মানের হোটেল গুলোতে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে নানা আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়তি চাপ থাকায় হোটেল গুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে অনেকের।

নতুন বছর উদযাপনে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটক দম্পতির মধ্যে সাইফুল ইসলাম জানান, নতুন বছরকে বরণ করতে তারা কক্সবাজার ছুটে এসেছেন। সমুদ্রের বুকে সূর্যস্ত দেখার মাধ্যমে পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছর ২০২০ সালকে বরণ করতে চায়।

সাইমা সোলতানা নামে আরেক পর্যটক জানান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিশালতায় দাঁড়িয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানার মজাই আলেদা। তাই পরিবার নিয়ে আসছি যেন সবাই একসাথে আনন্দ ভোগ করতে পারে। নিরাপত্তার ব্যাপারে বলেন, বেড়াতে আসা পর্যটকের ভালই নিরাপত্তা রয়েছে তবে আরো জোরদার করা দরকার। এছাড়া তিনি হোটেলে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও তুলেন।

নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আগত পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারে এবং কোনোভাবে যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তার কথা জানিয়ে পুলিশ সুপার (ট্যুরিস্ট) জিল্লুর রহমান জানান, থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। আগত পর্যটকদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। বেড়াতে আসা পর্যটকেরা যেন ভ্রমন শেষে নিরাপদে ঘরে ফিরিয়ে দিতে সবধরণের ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জনবল বৃদ্ধি ছাড়াও টহল পার্টি দায়িত্ব পালন করছে পর্যটক স্পটগুলোতে। জেটস্কী‘র মাধ্যমে টহল দেওয়া হচ্ছে সমুদ্র। অসুস্থ্য পর্যটকের দ্রুত প্রাথমিক চিকি’সা, ইভটিজিং বন্ধের পাশাপাশি পর্যটন স্পটগুলো সিসিটিভি ক্যামরার আওতায় আনা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশের পাশাপাশি ৩টি বেসরকারি লাইফ গার্ড সংস্থার অর্ধশতাধিক প্রশিক্ষিত লাইফ গার্ড কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া দায়িত্ব পালন করছে র‌্যাব সদস্যরা। অন্যদিকে খাবারের মান নিয়ন্ত্রণসহ কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে মাঠে।

-সিভয়েস/এসসি

ওমর ফারুক হিরু

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়