Cvoice24.com


আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হলেন হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হলেন হাছান মাহমুদ

ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হছান মাহমুদ যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। একই সাথে সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নামও যুগ্ম সম্পাদক পদে ঘোষণা করা হয়।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে দলের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এ নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও ২৮৪ নং (চট্টগ্রাম-৭) আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন,২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। এরপর জানুয়ারী ২০১৯ তিনি বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন তিনি।

হাছান মাহমুদ ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০৮-২০১৪ সালে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন। পরে তাকে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী পদে সরানো হয়। ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে তাকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রীর পুরোপুরি মন্ত্রী হিসাবে পদোন্নতি দেওয়া হয় এবং ২০১৩ সালের শেষ অবধি এই পদে দায়িত্ব পালন করেন ড. হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৫ জুন ১৯৬৩ জন্মগ্রহণ করেন তিনি । ১৯৮৮ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয়ে স্নাতক এবং ১৯৮৯ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করে ২০০১ সালে লিম্বুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশগত বিষয়ে রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

স্কুল জীবনেই বাংলাদেশ ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হওয়া তৃণমূলের এই নেতা সফল নেতৃত্বের মাধ্যমে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তথা দেশ এবং বিদেশেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রশংসিত হচ্ছেন। উত্তাল ছাত্ররাজনীতির পাঠ চুকিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ১৯৯২ সালেই বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে যান মেধাবী এই রাজনীতিক। সেখানে ভর্তি হন ইউরোপের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ ব্রিজে ইউনিভার্সিটিতে। শিক্ষা জীবনে ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক পাশ করা এই রাজনীতিক দেশে বিদেশে মোট তিন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি ও পরিবেশ রসায়নে পিএইচডি ইন সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইনঅর্গানিক কেমিস্ট্রি (রসায়ন) বিষয়ে প্রথম মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করা হাছান মাহমুদ ১৯৯৬ সালে বেলজিয়ামের ব্রিজে ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাসেলস থেকে হিউম্যান ইকোলজি (পরিবেশ বিজ্ঞান) বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। একই সালে বেলজিয়ামের আরেক নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব লিবহা দু ব্রাসেলস থেকে ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

২০০১ সালে বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাম থেকে পরিবেশ রসায়ন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন দেশের বর্তমান সময়ের মেধাবী রাজনীতিক ড. হাছান মাহমুদ। ১৯৯৩ সালে ব্রিজে ইউনিভার্সিটির সমস্ত বিদেশি ছাত্রদের স্টুডেন্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পাশাপশি বেলজিয়াম আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার উদ্যোগ নেন। নির্বাচিত হন বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক রাজনীতির সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছাত্র জীবনে তিনি প্রথমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম শহরের জামালখাঁন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

১৯৭৮ সালের শেষার্ধে চট্টগ্রাম সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামের সরকারি হাজী মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে সামরিক শাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময়ে তিনি গ্রেফতার হন। পরে ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

তার সুদক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে নব্বই দশকের শুরুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নির্বাচনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য বিপুল বিজয় লাভ করেন। সেই নির্বাচনের সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে প্রার্থী হতে না পারলেও তিনিই ছিলেন সেই নিবার্চনে সমস্ত প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান। আশির দশকের শুরুতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন মেধাবী এই নেতা। ১৯৯২ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সর্বকনিষ্ঠ সদস্য মনোনীত হন হাছান মাহমুদ।

-সিভয়েস/এসসি

 

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়